লবিংয়ে ব্যস্ত জালিয়াত সাকির!
সিলেট মহানগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সাকারিয়া হোসেন সাকির (২৪)। এজন্য তিনি মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তিসহ দলের প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। শুধু তাই নয়, যোগাযোগ রক্ষা করছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও।
তবে অভিযোগ রয়েছে, সাকারিয়া হোসেন সাকির সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজের বিভিন্ন নথি জালিয়াতকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত। ২০১১ সালের ২৯ জানুয়ারি সিলেট নগরীর আম্বরখানাস্থ সেন্ট্রাল প্লাজা মার্কেটে তুহিন কম্পিউটার নামের একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। এসময় তার কাছ থেকে ৫টি জাল সার্টিফিকেট, ২টি মার্কশিট, ১টি কম্পিউটারসহ আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। এরপর সাকিরকে আলামতসহ কতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে তিনি নথি জালিয়াতকারী হিসেবে পরিচিত।
এ ঘটনার পর থেকে সাকির নিজের অপর্কম ঢাকতে যুক্ত হয়েছেন রাজনীতিতে। বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগর পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। এ পদে থেকেও থেমে নেই তার অপকর্ম। বরং বেড়েছে কয়েকগুন। সাকারিয়া হোসেন সাকির সিলেট কোতোয়ালি থানার খাসদবীর এলাকার তোজাম্মেল আলীর ছেলে।
কমিটির বিষয়ে যুবলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা জানান, সাকারিয়া হোসেন সাকির জালিয়াতিকে এখনো পেশা হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছেন। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তিকে প্রভাবিত করে তিনি আইনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিজের অপকর্মকে আড়াল করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে সাকারিয়া হোসেন সাকির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব যড়যন্ত্র হয়েছে। সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি সিলেট মহানগর যুবলীগের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। যুবলীগ সিলেট মহানগর কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালে। কমিটির মেয়াদ ছিল তিন বছর। এখন সম্মেলন হবে। তবে কবে হবে তা চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি র্যাবের হাতে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে বলেন, বিএনপির লোকেরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল। পাঁচ বছর মামলা চলেছে আমার বিরুদ্ধে। সব অভিযোগ মিথ্যা।
এমএএস