ভোলায় মানববন্ধনে জেলেদের ছয় দাবি
দেশের মৎস্য সম্পদ ও মৎস্যজীবী জেলে সম্প্রদায়কে রক্ষায় ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে ভোলায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি ভোলা জেলা শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দাবিগুলো হলো― নদীর মোহনায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হবে। ওই সব মোহনা থেকে খুঁটা জাল, নেট জাল, বেহুন্দি জাল উচ্ছেদ করতে হবে। মৎস্য বিভাগের সব পর্যায়ের প্রকল্পে মৎস্যজীবী জেলে সংগঠনের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মৎস্যজীবী জেলেদের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে ও মৎস্যজীবী জেলেদের এফআইডি কার্ড সংশোধনে মৎস্যজীবী জেলে সংগঠনের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধন শেষে জেলেরা জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন আল রশিদ তাদের কিছু দাবি জানিয়ে বলেন, ভূমিহীন মৎস্যজীবী জেলেদের নামে খাসজমি বরাদ্দ দিতে হবে ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। বদ্ধ জলমহালের আয়তন ঠিক রেখে প্রকৃত মৎস্যজীবী জেলে সংগঠনের নামে বরাদ্দ দিতে হবে। মৎস্যজীবী জেলেদের বিজিএফ বিতরণে দুর্নীতি বন্ধের লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে ভিজিএফ দিতে হবে ও সব জেলার মৎস্যজীবী জেলেদের ভিজিএফের আওতায় আনতে হবে।
মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সদর উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, কক্সবাজার ও কুমিল্লা জেলাকে জাটকা জোনের আওতায় আনতে হবে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, জলদস্যু ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে নিহত জেলে পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা ও নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলের নামে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকার জীবনবিমা চালু করতে হবে।
এ ছাড়া মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তজুমদ্দিন উপজেলা সভাপতি মো. শাহজাহান, চরফ্যাশন উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ নান্নু, মনপুরা উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ নাসির মহাজন প্রমুখ।
এনএ