প্রক্রিয়াকরণেই নষ্ট হচ্ছে ৩৫ শতাংশ খাদ্য!
গতানুগতিকভাবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ফলে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য নষ্ট হচ্ছে। যা দিয়ে প্রায় সোয়া ৪ কোটি মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। তাই আধুনিক উপায়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অনুষ্ঠিত ‘সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকরণে ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট -২০২১’ মুক্তসংলাপে এমন পরিসংখ্যান ওঠে আসে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাকৃবির ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড গ্রামীণ শিল্প বিভাগ ও গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশান (জিএআইএন)।
অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবি ভিসি ড. লুৎফুল হাসান। ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রধান পলি কর্মকারের সভাপতিত্বে মুক্তসংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. বোরহান উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পটুয়াখালী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি এবং জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ভিসি ড. শামস-উদ-দিন।
মুক্তসংলাপে বাকৃবি ভিসি ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ফুড সিকিউরিটিতে আমাদের সফলতা রয়েছে কিন্তু নিউট্রিশানের ক্ষেত্রে আমাদের আরও সফলতা প্রয়োজন। গতানুগতিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কারণে আমাদের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের আরও জোরালো নজর দিতে হবে। তাই আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই।
প্রফেসর ড. শামস-উদ-দিন বলেন, দেশে ফসল তোলার পরের প্রক্রিয়াতেই প্রায় ০.৫ ভাগ থেকে ৩৫ ভাগ পর্যন্ত খাদ্যশস্য নষ্ট হয়। খাদ্য চাহিদা ও পর্যাপ্ত যোগানের দৈরত্ব সমাধানে নতুন উদ্ভাবন এবং টেকসই প্রযুক্তির ফলে প্রায় সোয়া ৪ কোটি মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. নজরুল ইসলাম এবং স্মল ফারমার্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন আকন্দ। মুক্তসংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন জিএআইএন'র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর কর্মকর্তারা।
উবায়দুল হক/এমএসআর