ফরিদপুরে ভাঙনের মুখে স্কুল-ক্লিনিক
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে এবং চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিয়াডাঙ্গী কমিউনিটি ক্লিনিক এবং চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত ভাঙনের ফলে কাঁচা রাস্তাসহ প্রায় ৩০ শতাংশ জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনরোধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ওই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৯৮ সালের বন্যার পর বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে ২০০৬ সালে স্কুলটি সরিয়ে বর্তমান জায়গায় আনা হয় এবং দ্বিতল একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেটিও ভাঙনের মুখে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, চরাঞ্চল হওয়ায় বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে গেলে এই এলাকার শিশুদের পড়াশোনাও হুমকির মুখে পড়বে।
এদিকে পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে রয়েছে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙতে ভাঙতে ওই স্কুল থেকে ৩০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে পদ্মা নদী।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে স্থাপন করা হয়। ১৯৯৭ সালের ভাঙনে তখনকার স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়। পরে বর্তমানের জায়গায় চারচালা একটি টিনের ঘরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সে স্থাপনাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্ট বিদ্যালয় সংলগ্ন ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কারণে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ও চারজন শিক্ষক নিয়ে আমরা এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ফাজেলখারডাঙ্গী ও সবুল্লাহ শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে অস্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের জন্য ১৫ হাজার ৮৯৪টি জিও ব্যাগ বরাদ্দ হয়েছে। এগুলো ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসপি