বরিশালের মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে মহিলা আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকালে নগরীর সোহেল চত্বরস্থ বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খালেদা হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন নগর মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিগার সুলতানা, যুগ্ম সম্পাদক গায়েত্রী সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইউএনও গুলি চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর। ইউএনও যে অপকর্ম করেছেন, যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তাতে তার বিচার হওয়া উচিত।
অথচ আমরা দেখছি উল্টো চিত্র। নির্যাতিত, গুলিবিদ্ধদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুরো ঘটনা বিচার বিভগীয় তদন্তের দাবি করেন তারা।
উল্লেখ্য, আগস্ট মাসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় গত বুধবার রাতে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে টানানো ভুইফোঁড় নেতাদের ব্যানার অপসারণ করতে যান সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউএনও তার বাসভবন থেকে বের হয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের কাজে বাধা দেন।
তিনি সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বলেন, আমার কমপ্লেক্সের মধ্যে কোনো ‘মেয়রগিরি’ চলবে না। তোমরা বের হয়ে যাও। এই খবর সিটি মেয়রকে জানান দায়িত্বরত কর্মচারীরা। খবর পেয়ে মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু ও প্রচার সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
তারা সেখানে গেলে তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন ইউএনও এবং তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের গুলি করার নির্দেশ দেন। আনসার সদস্যরা গুলি করতে নিবৃত্ত থাকলেও তাদের অস্ত্র ইউএনও নিজে নিয়ে গুলি করেন। তাতে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ ছয়-সাতজন গুলিবিদ্ধ হন।
মেয়র এ ঘটনা জানার পর বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে মেয়রকে দেখে আবারও গুলি করেন ইউএনও। তখন মেয়র নিজে পরিচয় দেন। তারপরও ইউএনও সহনশীলতা প্রকাশ করেননি।
মেয়রকে গুলি করা হয়েছে, এমন খবর প্রচার হয়ে গেলে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন সিএন্ডবি রোডে। সেখানেও গুলি করা হয়। এতে প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ বেশ কয়েকজন নেতা আহত হন। তার শরীরে ৩৯টি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। এছাড়া আরও কয়েকজন নেতা চোখসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে বিএমপির দাঙ্গা পুলিশ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায়। এতে ৬০ জন গুলিবিদ্ধ এবং ৫০ জনের বেশি পুলিশের মারধরে আহত হয়েছেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর