বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা-বোঝাই নৌকাডুবি, নিখোঁজ ২৩
বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা-বোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ১৪ জনকে উদ্ধার করে ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছেন জেলেরা। নিখোঁজদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে ভাসানচর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। সাগরে নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
শনিবার (১৪ আগস্ট) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচরের নৌবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ শংকর বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার গভীর রাতে রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশু-বোঝাই একটি নৌকা ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। ভাসানচর থেকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা চলার পর নৌকাটি সমুদ্রের বৈরী আবহাওয়ার মুখে পড়ে উল্টে যায়। এতে নৌকাটিতে থাকা পুরুষ, নারী ও শিশুরা পানিতে পড়ে গেলে কেউ সাঁতরে আশপাশের মাছ ধরার ট্রলারে আশ্রয় নেয়।
মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা ১৪ জনকে উদ্ধার করে শনিবার ভোরে ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে নামে কোস্টগার্ডের ভাসানচর, সন্দ্বীপ ও সারিকাইত স্টেশন। কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের দুটি জাহাজও তাদের সন্ধানে যায়। এ ছাড়া নৌবাহিনীর জাহাজ ও হেলিকপ্টারও নিখোঁজদের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে ‘সার্চ অপারেশনে’ চালাচ্ছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নৌকাডুবির পর আশপাশের মাছ ধরার নৌকায় থাকা জেলেরা ১৪ জনকে উদ্ধার করে ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে নৌকায় ৩৭ থেকে ৩৮ জন ছিল। এর মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম হাবিবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে নৌকাডুবির পর মাছ ধরার নৌকার মাঝি-মাল্লারা ১৪ জনকে উদ্ধার করে ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছে। এ ছাড়া যারা ফিরে এসেছে, তারা নিখোঁজদের নিয়ে একেক সময় একেক সংখ্যা বলছে। তাই এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ আছে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে। এখনো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে থাকা কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনাটি আসলে কোথায় ঘটেছে, সেটি বেঁচে আসা রোহিঙ্গা ও কোনো জেলে বলতে পারছেন না। তবে অনুমান করা হচ্ছে, ভাসানচর থেকে ১৫ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের কোথাও এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ভাসানচরের নিম্নাঞ্চলে অনুসন্ধান চালাচ্ছি। ধারণা করা হচ্ছে তারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে কক্সবাজার বা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল।
হাসিব আল আমিন/এনএ