দাঁড়ানোর জায়গা নেই লঞ্চে
রফতানিমুখী শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে আজ (০১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে লঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে ভোলার লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। লঞ্চে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট, ভোলা নদীবন্দর (খেয়া ঘাট) এবং চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে পাঁচটি লঞ্চ। এ ছাড়া ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী ঘাটের উদ্দেশে দুটি সিট্রাক ও দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
জানা গেছে, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই এসব লঞ্চ গন্তব্য ছেড়ে যাচ্ছে। একদিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অন্যদিকে বাড়তি ভাড়ায় চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
ঢাকাগামী এমভি দোয়েল পাখি-১ এর যাত্রী সোলাইমান হোসেন বলেন, লঞ্চে দাঁড়ানোর মতো জায়গা নেই। অথচ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ২৫০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা নিতেছে। এমন হইলে কেমনে হইবো? এইডা তো গরিব মারা ব্যবসা শুরু করছে।
লক্ষ্মীপুরগামী পারিজাত লঞ্চের যাত্রী জয়দেব বলেন, লঞ্চে ভাড়া বেশি নেয় ভালো কতা। কিন্তু যেনে দাঁড়ানের মতো জায়গা নাই হেনে এতো ভাড়া কা?
ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-১০ লঞ্চের যাত্রী মো. সবুজ বলেন, লঞ্চে যাত্রীদের চাপ হবে ভেবে সরকারের ঘোষণা পাওয়ার পর পর রাতে ঘাটের উদ্দেশে চলে আসি। ঘাটে রাত ২টায় এসেও সিট পাইনি। বারান্দায় সিট করতে হইছে।
ভোলা-ঢাকা রুটের কর্ণফুলী-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মো. আলাউদ্দিন বলেন, আজ ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের প্রতিটা লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের সুবিধার্থে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচল করতে বলা হয়েছে। ভোলা ও চরফ্যাশন থেকে রাজধানী ঢাকার পথে পাঁচটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী ঘাটের উদ্দেশে দুটি সিট্রাক ও দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
এসপি