রংপুর বিভাগে আরও ১৫ জনের মৃত্যু, বেড়েছে শনাক্ত
রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩২৬ জনের। গত ২৩ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৯৮ জন। শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নীলফামারীর চারজন, কুড়িগ্রামের তিনজন, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, দিনাজপুরের দুইজন, পঞ্চগড়ের দুইজন ও রংপুরের একজন রয়েছেন।
এ সময়ে বিভাগে ১ হাজার ২৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের ১০৪ জন, নীলফামারীর ৫৭ জন, দিনাজপুরের ৪৪ জন, রংপুরের ৩৭ জন, পঞ্চগড়ের ৩০ জন, গাইবান্ধার ২৪ জন, কুড়িগ্রামের ২১ জন ও লালমনিরহাটের ৯ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ১৫ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২২ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৫৪ জন, রংপুরে ১৬৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫৭, নীলফামারীতে ৬৩, পঞ্চগড়ে ৪৯, লালমনিরহাটে ৪৭, কুড়িগ্রামে ৪৫ ও গাইবান্ধায় ৩৮ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৩ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ১৪৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১১ হাজার ৭০৩ জন, রংপুরে ৮ হাজার ৫৭৭ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ হাজার ৪৩৯ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৩০৫ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ৩৬ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ৮৬৯ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ৪৮ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ১৬৯ জন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি