২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে প্রাণ গেল ২২ জনের
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে আরও ২২ জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে মারা যান তারা।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর ১১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ জন, পাবনার ৪ জন, নাটোরের দুজন এবং নওগাঁর একজন করে মারা গেছেন।
এই একদিনে রাজশাহীর দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন, পাবনার একজন এবং নাটোরের একজন করে মোট ৬ জন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণে। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীর ৮ জন, পাবনার ৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন, নাটোরের একজন এবং নওগাঁর একজনসহ মোট ১৫ জন। করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন রাজশাহীর একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। যাদের ৮ জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। এ ছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫ জন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। এ ছাড়া ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ৩, ১৪ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন করে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন এবং ১ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন মারা গেছেন।
শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১৩ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন ৪১২ জন। খালি নেই ২০ শয্যার আইসিইউ। করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ১৮৬ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭৩ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৫৩ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬১ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬২ জন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ১৪ জনের নমুনায়। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ১৮১ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩২ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের এপ্রিল থেকে এই বছরের জুন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ১৬১ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৫ হাজার ৯২৭ জন। এই ১৪ মাসে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪৬ জনের। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নয়তো অন্যান্য শারীরিক জটিলতায়।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ