উভয়মুখী যাত্রীর চাপ শিমুলিয়া ঘাটে
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছিল মানুষ। শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে ফের লকডাউনের ঘোষণা আগেই জানিয়ে দিয়েছে সরকার। তাই কর্মস্থলে ফেরার জন্য মানুষ আবারও ছুটছে। অন্যদিকে যারা ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারেনি, সামনের টানা ১৪ দিনের লকডাউনের সুযোগে তারাও গ্রামে ফিরছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) ভোর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে উভয়মুখী যাত্রীর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। একদিকে কর্মস্থলমুখী মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দের ছোঁয়া থাকলেও রয়েছে দ্রুততম সময়ে স্বজনদের ত্যাগ করার বেদনা, অন্যদিকে বাড়ি ফেরা মানুষের রয়েছে বারবার আয়রোজগারে ভাটা পড়ার হতাশাও।
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে নড়াইল যান তুষার। আবার ঢাকায় ফিরতে এসেছেন ঘাটে। তিনি বলেন, দুই দিন আগে ঈদ করতে বাড়ি গিয়েছিলাম। কাজ থাকায় আবার ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। অনেক দিন পর গিয়ে দুই দিনেই ফিরে আসা খুব কষ্টের। লকডাউন ঘোষণা না হলে আরও কয়েক দিন থেকে আসতাম। ঈদের আনন্দ থাকলেও কিছুটা খারাপও লাগছে।
ঘরমুখী যাত্রী খুলনার মো. আরিফ ঢাকাতেই ঈদ করেছেন। তবে ১৪ দিনের ফের লকডাউন ঘোষণা করায় এই সময়টা গ্রামের বাড়িতে কাটাবেন বলে রওনা হয়েছেন বাড়ির উদ্দেশে। তবে দুই সপ্তাহ পর কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তার মনে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে ৮৬টি লঞ্চ ও ১৮ ফেরি চলছে। শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, ঈদ শেষে মানুষের যত চাপই হোক, বিআইডব্লিউটিসি প্রস্তুত রয়েছে। সব কটি ফেরি সেবায় নিয়োজিত আছে। আমরা সর্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছি। কারণ, ঈদে সেবা দেওয়ার জন্য কাউকে ছুটি দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাটে প্রচণ্ড গাড়ি ও যাত্রীর চাপ রয়েছে। আমরা চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি।
শিমুলিয়া ঘাটের নদীবন্দরের বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা মো. সোলাইমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাটে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। যাত্রীরা বাড়ি ফেরার পাশাপাশি ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে, তাই সকাল থেকে উভয়মুখী চাপ রয়েছে। এ মুহূর্তে শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে ৮৬টি লঞ্চ চলছে।
ব.ম শামীম/এনএ