বিভিন্ন জেলায় ঈদুল আজহা উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দেশের বিভিন্ন জেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। আগাম ঈদ উদযাপনের বিষয়ে আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর তুলে ধরা হলো-
চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৪০টি গ্রামে সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেন। সৌদি আরবে সোমবার (২০ আগস্ট) পবিত্র হজ পালিত হয়। মঙ্গলবার ঈদ উদযাপিত হয়। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই এই ঈদ উদযাপন করা হয়।
দরবার শরিফ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামের মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করেন।
স্থানীয় মুসল্লি সাকের হোসাইন বলেন, সৌদিতে সোমবার হজ হয়ে গেছে। তাই মঙ্গলবার আমরা ঈদ করছি। সকাল সাড়ে ৮টায় সাদ্রা ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরিফ জামে মসজিদে ঈদের শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
পীর শায়েখ মাওলানা আরিফ চৌধুরী বলেন, দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের রেওয়াজ চালু করেন। এ জন্য প্রতিবছর সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদ ও রোজা পালন করি। করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীর দুটি ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা এ ঈদ উদযাপন করেন। তিনটি জামাতে অন্তত ১৫০০ থেকে ১৬০০ মানুষ এ জামাতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ জুলাই সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। কিন্তু বোয়ালমারী শেখর ও রূপাপাত এই দুই ইউনিয়নের ১৩ গ্রামে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ঈদ উদযাপিত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব গ্রামের বাসিন্দারা চট্টগ্রামের মীর্জাখীল শরিফের অনুসারী।
মাদারীপুর: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুর জেলার ৩০ গ্রামের মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। করোনার কারণে এলাকার দুটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টায় জেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুকচরের দুটি জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ শেষে দেশের মহামারি ও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এরপর কোলাকুলি শেষে পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
মাদারীপুরে হজরত সুরেশ্বরীর (রহ.) ভক্ত ও অনুসারী ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আগে ঈদুল আজহা উদযাপন করতো। কিন্তু দিনে দিনে সেটা কমে এসেছে। এবার দূরের তেমন কেউ ঈদের জামাতে না আসলেও কয়েক হাজার মানুষ এ ঈদ উদযাপন করছে বলে জানান ভক্ত ও অনুসারীরা। তবে আগের চেয়ে অনেকটাই কমে এসেছে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুর ঈদ উদযাপন।
সুরেশ্বর দরবার শরিফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইন জানান, সুরেশ্বর দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জান শরিফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা প্রায় দেড়শ’ বছর আগ থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করেন। মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের কয়েক হাজার মুসলিম আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
দিনাজপুর: দিনাজপুরে এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ ৫টি উপজেলায় মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে, বিরল উপজেলার কামদেবপুর গ্রামে, চিরিরবন্দর উপজেলার পূর্ব সাইতাড়া রাবার ড্যাম এলাকায়, কাহারোল উপজেলা সদরের জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইল এলাকায় ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ মানুষ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। পরে নামাজ শেষে তারা পশু কোরবানি করেন।
মৌলভীবাজার: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মৌলভীবাজারে প্রায় শতাধিক পরিবারের মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা নামক বাসায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত ও কোরবানি করা হয়। তবে সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় করলেও ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে মুসল্লিরা কোলাকুলি করেন।
নামাজে ইমামতি করেন আলহাজ আব্দুল মাওফিক চৌধুরীর (পীর সাহেব উজান্ডি)। তিনি জানান, গত ১৪ বছর ধরে তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই এই নামাজ আদায় করেন। প্রথমে তার বাসার ছাদে আর এখন তার বাড়ির উঠানে নামাজ আদায় করা হয়।
পিরোজপুর: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেছে পিরোজপুরের ৮ গ্রামের ৭ শতাধিক পরিবার। যারা সুরেশ্বর পীরের অনুসারী বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ৬টি গ্রাম, কাউখালী উপজেলার ১টি গ্রাম ও নাজিরপুরের ১টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবুনিয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, খেতাছিড়া ও চকরগাছিয়া গ্রামের প্রায় ৬ শতাধিক পরিবার, কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামের ৪০ পরিবার ও নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৮০ পরিবার ঈদ উদযাপন করছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করেছেন। সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে পারে তার জন্য প্রশাসন সচেতন রয়েছে।
পঞ্চগড়: সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টায় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদে পুলিশ পাহারায় ৪ পরিবারের ৭ জন জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার উত্তর কামারপাড়া এলাকায় কামারপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুল্লাহর পরিবারসহ মোট ৪ পরিবারেরে সদস্যরা সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ওই মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় করতেন। গত রোজার ঈদে মসজিদে নারী-পুরুষ এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে ওই পরিবারের নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মোট ৫০ জন মুসল্লি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে গেলে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক ও সহ-সভাপতি আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে স্থানীয়রা সভাপতি আব্দুল্লাহসহ নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়াসহ পুলিশের একটি দল। পরে উভয় পক্ষকে শান্ত করে আলোচনার মাধ্যমে নামাজের ব্যবস্থা করে দেন ওসি। পরে মনির হোসেনের ইমামতিত্বে ওই ৪ পরিবারের ৭ জন পুলিশি পাহারায় ঈদের নামাজ আদায় করেন। অন্যদিকে নারীরা তাদের নিজ বাড়িতে নামাজ আদায় করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, ওই মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে একদিন আগে ঈদের নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করি।
ভোলা: ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সুরেশ্বর দরবারের পীর ও সাতকানিয়া দরবার শরিফের অনুসারী সদর, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও তজুমদ্দিন উপজেলার ১৪ গ্রামের মানুষ এ ঈদ উদযাপন করেন।
সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে জেলার বোরহানউদ্দিনের মুলাইপত্তন গ্রামের মজনু মিয়ার বাড়ির দরজায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শতাধিক মানুষ জামাতে শরিক হন। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে চৌকিদার বাড়ি জামে মসজিদ, পঞ্চায়েত বাড়ি জামে মসজিদসহ বিভিন্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ জামাতে অংশগ্রহণ করে।
তজুমদ্দিন উপজেলার ছালাম মেম্বার বাড়ি, আব্দুল্লাহ মাঝি বাড়ি, লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালীর পশ্চিম পাশে পাটোয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালী: সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়ণপুর ও বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের ৯টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানি করেন মুসল্লিরা।
স্থানীয়রা জানান, বসন্ত বাগ গ্রামের ঈদের জামাতে ১০০-১৫০ জন মুসল্লি, নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুর ভেন্ডার মসজিদের পূর্ব পাশে দায়রা ঘরে ২২ জন মুসল্লি, জিরতলী ফাজিলপুর গ্রামের মসজিদে ৮০-১০০ জন মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।
তারা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সুশৃঙ্খলভাবে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৮টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বসন্তবাগ গ্রামের সিনিয়র মাদরাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের দায়রা বাড়ি কাছারীঘর, হরিনারায়ণপুর ভেন্ডার জামে মসজিদসহ তিনটি মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শরীয়তপুর: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরিফের অনুসারী ৩৫ গ্রামের দেড় হাজার পরিবার। সুরেশ্বর দরবার শরিফের গদিশীন পীর শাহ নূরে কামাল সুরেশ্বরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুরেশ্বর দরবার শরিফের অনুসারী ৩৫টির অধিক গ্রামের মানুষ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন।
কামাল সুরেশ্বরী বলেন, সিয়াম, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা নামাজ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পালন করে থাকি। এবারও ঈদুল আজহা তাদের সঙ্গে মিল রেখে পালন করেছি। সুরেশ্বর দরবার শরিফের মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ পড়া হয়। সুরেশ্বর দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা হজরত জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরীর শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
তিনি আরও বলেন, পূর্বপুরুষদের নিয়ম অনুযায়ী আমরা পশু কোরবানি দেই না। যদি ভক্তরা মনে করেন পশু কোরবানি করবেন, আমরা কোনো বাধা দেই না। নামাজ শেষে ভক্তদের বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়।
আরএআর