শতকষ্ট হলেও বাড়িতে যাব
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে ছুটছে মানুষ। সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
বিকেলে পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ পড়েছে। এই নৌপথে নৌপথে ১৬টি ফেরি ও ২৩ যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রী পারাপারে কোনো দুর্ভোগ কিংবা ভোগান্তি হবে না বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। তবে প্রতিটি লঞ্চ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অধিক যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছে।
৬ মাস পরে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিক হালিম মিয়া। পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে কথা হলে তিনি বলেন, আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করি। রোজার ঈদে বাড়ি যাই নাই। এ জন্য কোরবানির ঈদে বাড়ি যাচ্ছি। সড়ক পথে ভোগান্তি থাকলেও ঘাটে এসেই লঞ্চ পাইছি।
রুমা আক্তার নামে আরেক পোশাক শ্রমিক বলেন, শতকষ্ট হলেও বাড়িতে যাব। মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করার আনন্দই আলাদা। লঞ্চে অনেক যাত্রী। সবাই গাদাগাদি করেই পার হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো যাত্রীই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। লঞ্চে সামাজিক দূরত্বও নেই, উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা বাড়ছে। তবে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সরকারি নির্দেশনা মানাতে মাইকিং করলেও তা কোনো কাজে আসছে না।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার পান্না লাল নন্দি বলেন, পাটুরিয়া ২৩টি যাত্রীবহী লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু প্রত্যেক যাত্রীর মুখেই মাস্ক রযেছে। আমরা যাত্রীদের অনেক বোঝানের চেষ্টা করছি। তবে কোনো যাত্রীই তা মানছেন না।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ঈদে যানবাহন ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারপার করতে নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। সকাল থেকে এ নৌপথে যাত্রীর চাপ থাকলেও যানবাহনের কোনো চাপ নেই। ঘাটে আসা মাত্রই যানবাহন ও যাত্রীরা ফেরিতে করে নৌপথ পারপার হয়েছে। সর্বশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী যানবাহন নৌপথ পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে।
সোহেল হোসেন/আরএআর