লকডাউন কার্যকরে সিরাজগঞ্জে ৭ শতাধিক আনসার সদস্য
শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা- প্রতিপাদ্য ধারণ করে আনসার ও ভিডিপির প্রায় সাত শতাধিক সদস্য সিরাজগঞ্জে লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছেন। লকডাউন বাস্তবায়নের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে জেলা সদর থেকে শুরু করে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত-ই-খোদার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনসহ আরও চারজন উপজেলা কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ বিশাল বাহিনীর সদস্যরা জেলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
লকডাউনের তৃতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার (৩ জুলাই) শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন ও এসএস রোডে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি এ বাহিনী বেশ তৎপর ছিল। তাদের কর্মকাণ্ড ছিল চোখে পড়ার মতো।
যাত্রীদের দাঁড় করিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করতে দেখা গেছে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের। এছাড়া এক রিকশায় একাধিক ব্যক্তির যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করছেন তারা। পাশাপাশি অসহায়, দরিদ্র ও রিকশাচালকদের মাঝে মাস্কও বিতরণ করছেন। কর্মকর্তারা জানান, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ বাহিনী প্রস্তুত।
বেলকুচি উপজেলার আনসার কর্মকর্তা রহমতুল বারী ও শাহজাদপুর উপজেলার আনসার কর্মকর্তা ইনামুল হক বলেন, কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনেও সিরাজগঞ্জ আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
জেলায় সর্বমোট প্রায় সাত শতাধিক সদস্য জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে তারা বলেন, জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত-ই-খোদার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে বাহিনীর সদস্যরা শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড ও বড়বাজার এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করছেন। পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করছেন। সর্বোপরি লকডাউন বাস্তবায়নে তারা কাজ করছেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ আনসার ও ভিডিপির সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ও মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি করণীয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছি। তাদের বোঝার সুবিধার্থে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি মাস্কের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে অবগত করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে মানুষকে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত-ই-খোদা বলেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এ বাহিনী এর আগেও কোভিড-১৯ এর ক্রান্তিলগ্নে নিরলসভাবে কাজ করেছে। কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন নিশ্চিতকরণে এ বাহিনী নিজেদের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রেখেও কাজ করেছে।
তিনি বলেন, মানুষের মাঝে জনসচেতনতা তৈরি ও কোভিড-১৯ থেকে নিরাপদ থাকার উপায় ও করণীয় সম্পর্কে বোঝানো হচ্ছে। কঠোর লকডাউন সফলভাবে বাস্তবায়নে প্রথম দিন থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অতীতের মতো আগামীতেও এ বাহিনী সর্বদা মানুষের পাশে থেকে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করে যাবে।
শুভ কুমার ঘোষ/আরএইচ