ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কুমিল্লায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহলও অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (০২ জুলাই) সকাল ১০টায় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে এসে এমন চিত্র দেখা যায়। বিশ্বরোডে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাষিশ ঘোষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। তবে মহাসড়কে মাঝে মাঝে পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী পারাপার করতে দেখা গেছে।
মহাসড়কে কোনো গণপরিবহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। সেইসঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া বিশ্বরোড থেকে চাঁদপুর নোয়াখালী সড়কে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষজন পড়ছেন ভোগান্তিতে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি যে কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে সেগুলো আবার বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
শাহেদা বেগম নামে একজন বলেন, আমার হার্টের সমস্যা। তাই লাকসাম থেকে কুমিল্লা যাচ্ছি। ভাড়া দ্বিগুণ দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছি না। তাই অনেকটা পথ হেঁটে আসতে হলো।
স্বাস্থ্যকর্মী পড়সী রানী বলেন, আমি হাসপাতালে দায়িত্ব শেষ করে লালমাই যাচ্ছি। আমার বাচ্চা কান্না করতেছে। উপায় না দেখে হেঁটেই যাচ্ছি। সামনে গাড়ি পাব কি না জানি না।
সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাষিশ ঘোষ জানান, মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে যানবাহনের চাপ বেশি। তাই কঠোর অবস্থানে থাকতে হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে অভিযান চলছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যারা বিনা প্রয়োজনে বের হচ্ছে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিনটি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সদর দক্ষিণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু জানান, প্রশাসনের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরাও করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে কাজ করছি। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই মহামারি করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হবে।
উল্লেখ্য, লকডাউনের প্রথম দিনে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ৩১১টি মামলায় ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এ ছাড়া দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হযেছে। লকডাউন বাস্তবায়নে কুমিল্লায় ৪৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনীর ১২টি টিম, পুলিশের ৫৬টি টিম, বিজিবির পাঁচটি টিম, আনসারের চারটি টিম কাজ করছে।
এসপি