কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে করোনাভাইরাস ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৩ জুন) সকালে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার।
হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় ক্রমাগত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে জেনারেল হাসপাতালে শুধু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হবে। সাধারণ রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাদের জন্য ইমারজেন্সি এবং আউটডোরও বন্ধ থাকবে।
তবে করোনা আক্রান্ত রোগী ছাড়া অন্যান্য রোগীদের আদ্বদীন ও ডায়বেটিস হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরাই তাদের সেবা দেবেন। তবে প্রয়োজন হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরাও তাদের সাহায্য করবে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, কয়েকদিন আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু নেওয়া হয়েছিল। বুধবার সকালে হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী ছাড়া সাধারণ রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে না। তবে সাধারণ রোগীদের আদ্বদীন, ডায়বেটিস হাসপাতাল ও সুবিধাজনক কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে এখন করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২২ জন রোগী ভর্তি আছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৪ নমুনা পরীক্ষা করে ১২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৬৩ জন এবং মারা গেছেন ১৬২ জন। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১১৬ জন।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১২২ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৬৭ জন, দৌলতপুরের ১১ জন, কুমারখালীর ৯ জন, ভেড়ামারার ৯ জন, মিরপুরের ১৫ জন ও খোকসার ১০ জন রয়েছে। মৃত পাঁচজনের মধ্যে দুজন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা এবং একজন করে দৌলতপুর, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার বাসিন্দা।
এ পর্যন্ত জেলায় ৫৭ হাজার ৭৯২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৫৬ হাজার ৭৮৭ জনের। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছেন ১ হাজার ৫ জন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৮৫ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ২৫০ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে কুষ্টিয়া জেলায় এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। রোববার (২০ জুন) রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন আগামী ২৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে।
রাজু আহমেদ/এসপি