খুলনা করোনা হাসপাতালে ঝরল আরও ১১ প্রাণ
খুলনা করোনা হাসপাতালে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
শনিবার (১৯ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আটজন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং তিনজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এ ছাড়া হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫৫ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেডজোনে ৯৫ জন, ইয়ালোজোনে ২১ জন, এইচডিইউতে ২০ জন এবং আইসিইউতে ১৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটজনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন- খুলনার রূপসার আবুল হোসেন (৬০), নগরীর লবণচরা এলাকার শাহজাহান (৪৯), যশোরের কেশবপুরের মিজানুর রহমান (৫৮), কেশবপুরের আলেয়া (৬০), সাতক্ষীরার কলারোয়ার সাবদুল (৫১), কলারোয়ার আব্বাস গাজী (৬২), কালীগঞ্জের শেখ আইয়ুব আলী (৫৮) এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিনারা বেগম (৫৫)। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় ১৭১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৪৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটে আটজন, যশোরে পাঁচজন, সাতক্ষীরায় দুইজন, নড়াইলে একজন, পিরোজপুরে একজন, গোপালগঞ্জে তিনজন, মাগুরায় একজন এবং ফরিদপুরে একজন রয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুমেকের পিসিআর মেশিনে মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৮.১৭ শতাংশ।
মোহাম্মদ মিলন/এসপি