পরিচয় বলতে না পারা বৃদ্ধার ঠাঁই হলো স্নিগ্ধায়
নাম-ঠিকানা বলতে না পারা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধার ঠাঁই হয়েছে স্নিগ্ধা নামে একটি আশ্রমে। ১৩ জুন পারি ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঢাকার কামরাঙ্গির চর থানার পাশে থেকে বৃদ্ধাকে পায়। সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে তারা শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের নলবাইদ গ্রামে গড়ে উঠা স্নিগ্ধা আশ্রম কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করে।
স্নিগ্ধা আশ্রমের স্বত্বাধিকারী দিলরুবা জেসমিন স্নিগ্ধা। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেক আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল অসহায়দের জন্য একটি আশ্রম করব। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আমার নিজের নামে স্নিগ্ধা নামে আশ্রমের যাত্রা শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, ৪ একর জমির ওপর আশ্রমটি তৈরি করেছি। এক বছর আগে আশ্রমটির কার্যক্রম শুরু হয়। এখানে যেকোনো অসহায় মানুষ থাকতে পারবে। তারা শুধু একটি কাপড়ে চলে আসবে। বাকি দায়িত্ব আমাদের। বর্তমানে এখানে ১৫টি বেড আছে। তবে আমাদের ধারণক্ষমতা ১০০ জনের মতো।
তিনি বলেন, এখানে একটি পরিপাটি অতিথি কক্ষ, একটি লাইব্রেরি, সাউন্ড সিস্টেম, নিরাপত্তার জন্য ২৭টি সিসি ক্যামেরা, আইপিএস সু্বিধা, নিজস্ব ডিটিএইচ ও স্মার্ট টিভিসহ ওয়াফাই সু্বিধা রয়েছে। আশ্রম কেন্দ্রের ভেতরে হাসপাতাল হচ্ছে যেন স্থানীয় সবাই এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন।
ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় বৃদ্ধাকে নিয়ে আসা পারি ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, কামরাঙ্গির চর থানার পাশে ওই বৃদ্ধা শুয়েছিল। তিনি তার নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি। মুখে জড়তা নিয়ে একবার শুধু বলেছিল তার নাম সুরবানু (৭০)। তার মেয়ের নাম সুমাইয়া এবং নাতির নাম সামিরা।
তিনি আরও বলেন, তার পুরাতন স্মৃতি মনে নেই। গ্রামের নাম জিজ্ঞেস করলে বলে জানি না। তবে তার ভাষা শুনে মনে হয় তিনি সম্ভবত চাঁদপুরের বাসিন্দা।
পারি ফাউন্ডেশন সম্পর্কে ওয়াসিম খান বলেন, পারি ফাউন্ডেশন অসহায় মানুষকে পুনর্বাসন করা, ২ টাকায় চিকিৎসাসেবা, পথশিশুদের জন্য বিনামূল্যে খাবার, বিয়ে বাড়ি থেকে খাবার সংগ্রহ করে তা ক্ষুধার্ত অসহায়দের মাঝে বিতরণসহ নানা সেবামূলক কাজ করে থাকে।
বৃদ্ধাকে হস্তান্তরের সময় স্নিগ্ধা আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা দিলরুবা জেসমিন, তার ছেলে নিবিড়, ম্যানেজার মানিক, পারি ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী সুমন ব্যাপারী, সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এসপি