খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যু ৭০০ ছাড়াল
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বিশেষ করে ১০ জেলার মধ্যে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর ও কুষ্টিয়ায় অদৃশ্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।
এরই মধ্যে বিভাগে মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। সেইসঙ্গে শনাক্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৯৯ জনের, যা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে সর্বোচ্চ শনাক্ত।
শুক্রবার (১১ জুন) দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় তিনজন, সাতক্ষীরায় দুইজন ও যশোরে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
এদিকে খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শুক্রবার (১১ জুন) সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৮৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০১-এ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ হাজার ৭৩৬ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা-সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৫৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬০৫ জন।
বাগেরহাটে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৬ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫১৪ জন। সাতক্ষীরায় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২৬৮ জন এবং মারা গেছেন ৫০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫৬০ জন।
যশোরে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ২৭ জন। মারা গেছেন ৮৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৬৮০ জন। নড়াইলে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১২ জন। মারা গেছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৮৭ জন। মাগুরায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩০৭ জন। মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২১৫ জন।
ঝিনাইদহে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৭ জন। মারা গেছেন ৫৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৯২ জন। কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৩৮ জন। মারা গেছেন ১২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭৮০ জন।
চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৭৫ জন। মারা গেছেন ৬৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৫৯ জন। শনাক্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১২২ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৮৪ জন।
মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর