সেপটিক ট্যাংকে নেমে বাড়ির মালিকসহ ২ জনের মৃত্যু
ভোলার পূর্ব ইলিশার পন্ডিতের হাট এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে নেমে বিষক্রিয়ায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০৫ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- পন্ডিতের হাট এলাকার কালু ব্যাপারীর ছেলে মো. জসিম ও একই এলাকার তজু ব্যাপারীর ছেলে বাড়ির মালিক আব্দুল মালেক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, এক মাস আগে তৈরি করা সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে গিয়ে সকালে বাড়ির মালিক আব্দুল মালেকসহ চারজন ট্যাংকের ভেতরে নামেন। এ সময় ট্যাংকে থাকা মিথেন গ্যাসের বিষক্রিয়ায় দুইজন মারা যান। বাকিদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় বাসিন্দা অঙ্কুর রায় বলেন, সকালের দিকে আব্দুল মালেকের বাড়ির নির্মানাধীন নতুন সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিংয়ের কাজ শুরু হয়। মিস্ত্রি মো. জসিম ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন। তার সঙ্গে আব্দুল মালেকও প্রবেশ করেন। এ সময় গ্যাসের বিষক্রিয়ায় চিৎকার করলে তাদের বাঁচাতে শাহাবুদ্দিন ও কবির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ঢোকেন। তারা সবাই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রন্ত হন। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আমানুল্লাহ্ জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনেকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে আব্দুল মালেক ও মো. জসিমের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গুরুতর আহত অবস্থায় মো. কবির ও শাহাবুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. ফারুক সিকদার জানান, একটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের সেন্টারিংয়ের কাজ করতে গিয়ে মিথেন গ্যাসের বিষক্রিয়ায় বাড়ির মালিকসহ একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিনজন। তারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে চারজনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন নিহত হয়েছেন। বাকিরাও অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আরএআর