নোয়াখালীতে এক দিনে করোনা শনাক্তের রেকর্ড
নোয়াখালীতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২৭ জনের, যা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ। জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৫৪ জনে। তবে এদিন করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
শুক্রবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার।
সিভিল সার্জন জানান, নোয়াখালীর ল্যাবে ৩৯০টি নমুনা পরীক্ষায় ১২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালী সদরের ৬৫ জন, সুবর্ণচরের ৭ জন, বেগমগঞ্জের ১৭ জন, সোনাইমুড়ীর ১১ জন, হাতিয়ার দুই জন, চাটখিলের দুই জন, সেনবাগের ৯ জন, কোম্পানীগঞ্জের ১০ জন ও কবিরহাট উপজেলার চার জন রয়েছেন।
এ নিয়ে নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫৪ জন। যার মধ্যে সদরের ৩ হাজার ২০৫ জন আর বিভিন্ন উপজেলার ৫ হাজার ৮৪৯ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে কোনো মৃত্যু নেই। করোনায় নোয়াখালীতে এখন পর্যন্ত ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে সদরের ২৩ জন, আর বিভিন্ন উপজেলার ১০০ জন।
এর আগে শুক্রবার (৪ জুন) বিকেল ৪টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদরে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে শনিবার (৫ জুন) থেকে শুক্রবার (১১ জুন) পর্যন্ত এক সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সভায় সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে জেলাবাসীকে সুরক্ষা দেওয়ার স্বার্থে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার নোয়ান্নই, কাদিরহানিফ, বিনোদপুর, অশ্বদিয়া, নেওয়াজপুর ও নোয়াখালী ইউনিয়নে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, লকডাউনকৃত এলাকাগুলোতে ফার্মেসী ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কাঁচা বাজার খোলা থাকবে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শর্তসাপেক্ষে খোলা থাকবে খাবার হোটেল। তবে হোটেলে বসে খাবার খাওয়া যাবে না। জরুরি সেবা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, চিকিৎসা সেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর কাজে নিয়োজিত পরিবহন এবং যানবাহন চালু থাকবে।
হাসিব আল আমিন/ওএফ