বরিশালে দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের কাছে দুই ধরনের তথ্য

বরিশালের চরকাউয়া ইউনিয়নে একই কক্ষ থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার এক দিন পার হয়ে গেলেও থানায় কোনো মামলা হয়নি। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ময়নাতদন্ত শেষে আগামীকাল মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীকে হত্যার পরে নিজে আত্মহত্যা করতে পারে ওই যুবক। এ ছাড়া অন্য কোনো ঘটনা লুকিয়ে আছে কিনা তা উদঘাটনে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিট।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনার পর থেকেই উভয় পরিবারে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে লামিয়া আক্তারের স্বজনরা দাবি করছেন, পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী রাহাত হাওলাদার স্ত্রী লামিয়াকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে কয়েকবার পারিবারিক শালিসও হয়েছে। স্ত্রীকে দেখভাল করতো না, সংসারের খরচ বহন করতো না। এসব মিলিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ছিল।
যদিও রাহাত হাওলাদারের স্বজনদের দাবি, নিহত লামিয়া পরকীয়া সর্ম্পকে জড়িয়ে পরেন। সেখান থেকে স্বামী রাহাত ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা হওয়ায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পরা ব্যক্তি স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারে।
আরও পড়ুন
মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত লামিয়ার স্বজনদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দাখিলের কথা জানানো হয়েছে। এখনো থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে রাহাত। তবে এই তথ্যও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এজন্য আমরা বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করে দেখেছি। আশা করছি দ্রুতই রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের পূর্ব কর্নকাঠির একই বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরমধ্যে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে স্বামী রাহাত হাওলাদারের মরদেহ ঝুলন্ত ও খাটে শোয়ানো অবস্থায় ছিল স্ত্রী লামিয়া আক্তারের মরদেহ।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে