রাজবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ১০ নেতাকর্মী কারাগারে

রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গুলিবর্ষণ ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১০ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ী সদর ১নং আমলি আদালতে হাজির হয়ে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহম্মেদ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন, জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজম মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. গোলাম মালেক রিংকু, আবু বক্কর সিদ্দিক, আবির শেখ, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ ফিরোজ বিশ্বাস, চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, সাম্পা, কাজী রাফি আহম্মেদ সৌরভ, মানিক সরদার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নেন। বিকেলে উল্লেখিত এজাহারনামীয় আসামিরা তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে অতর্কিতভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় ৩০ আগস্ট শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জসীম উদ্দিন বলেন, আসামিরা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। আজ তারা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরকে