দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে অনিয়মের তদন্তে নেমেছে দুদক

দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক নিয়ে অনিয়ম তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়ক পরিদর্শনসহ তদন্তে আসেন দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর দুর্নিতী দমন কমিশন (দুদক) এর উপ-পরিচালক আতাউর রহমান সরকার, সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক খাইরুল বাশার, সহকারী পরিদর্শক শাহাজান আলী। এদিকে তদন্ত কমিটির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ফুলবাড়ী সড়ক উপ-বিভাগ ও দিনাজপুর সড়ক উপ-বিভাগ) আমানুল্লাহ আমান।
দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক আতাউর রহমান সরকার বলেন, দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটি নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ মোতাবেক আমরা দিনাজপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে দিনাজপুর থেকে বিরামপুর পর্যন্ত এসেছি, এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেখেছি ফুলবাড়ী টু বিরামপুর পর্যন্ত। তিনি আরও বলেন, আমরা গবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত যাব এবং তদন্ত করে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যালোচনা করে কমিশনে পাঠাব। এরপর কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম করব।
উল্লেখ্য, চার বছর আগে ৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৬ কিলোমিটার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করে সড়ক ও জনপদ (সওজ)। আঞ্চলিক মহাসড়কটি সংস্কার ও প্রশস্তকরণের চার বছর যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্নস্থান দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উঁচু-নিচু ঢেউ ও খাল, এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজার হাজার যানবহন। এতে করে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা বলেন, ২০১৭-১৮ সালে সেই সময়ে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ও চেয়ারম্যানরা ঠিকাদারের কাছে কমিশন বাণিজ্য করেছে। সড়কের শতকরা ৬০ ভাগ টাকা লুটপাট করে তাদের পকেট ভরেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজজ করে নিম্নমানের উপকরণ দ্বারা রাস্তাটি সংস্কার ও প্রশস্তকরণ করে বরাদ্দের অধিকাংশ টাকা লুটপাট করায় এখন রাস্তাটি দেবে গিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
সোহাগ গাজী/আরকে