পিরোজপুরে পয়লা বৈশাখ ঘিরে নাগালের বাইরে ইলিশের দাম

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালি ফেরিঘাট এলাকার কচা নদীর তীরে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রির হাট বসে। যেখানে চাহিদার তুলনায় ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ইলিশের দাম চড়া। ফলে ক্রেতারা দাম-দামি করে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালি ফেরিঘাট এলাকার কচা নদীর তীরের মাছ বিক্রির হাটে ঘুরে দেখা যায়, বিকেলের পর থেকে ছোট ছোট নৌকা ও ট্রলারে করে কচা নদী থেকে মাছ ধরে হাটে নিয়ে আসছেন জেলেরা। তবে হাটে আসা এসব নৌকা ও ট্রলারগুলোতে নেই পর্যাপ্ত ইলিশ। ফলে বিগত বছরের তুলনায় এ হাটে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দামও তুলনামূলক বেশি। এতে ক্রেতাদের মাছ কেনার আগ্রহ থাকলেও দাম নাগালের বাইরে হওয়ায় দাম-দর করে মাছ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার ইলিশের পরিবর্তে অন্য মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বিক্রেতারা ইলিশের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন সরবরাহ তুলনামূলক কম হলেও দাম স্বাভাবিকই আছে দাম তেমন বাড়ে নাই।
জানা যায়, এ হাটে জাটকা ইলিশের দাম কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজির নিচের ওজনের ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১৩০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা, এক কেজি বা এর বেশি ওজনের ইলিশের দাম ২২০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকা। যা স্বাভাবিক দামের তুলনায় একটু বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
পিরোজপুর সদর থেকে ইলিশ কিনতে আসা সিকদার জসিম উদ্দিন বলেন, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এখানে ইলিশ মাছ কিনতে এসেছি। বছরে একটা দিন ইলিশ খাওয়াটা উৎসব তাই কিনতে আসা। রাতেই এ হাটে ইলিশ পাওয়া যায়। তবে দাম অনেক বেশি আমার সাধ্যের বাইরে। তাই তপসি মাছ ১ হাজার টাকা কেজি দরে কিনেছি। ইলিশ আর কিনতে পারিনি।
আরও পড়ুন
মাছ কিনতে আসা মিঠুন হালদার বলেন, মাছ দেখেছি দামদরও করেছি কিন্তু কিনতে পারিনি। দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। এভাবে হলে আমরা সাধারণ মানুষ মাছ কিনে খেতে পারবো না।
চরখালি ফেরিঘাট এলাকার মাছ বিক্রেতা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ইলিশের দাম বেশি না। অন্যান্য দিনের মতোই তবে সরবরাহ কম। ক্রেতারা দামদর করছেন কিন্তু মাছ কিনছেন না। আমরা তো দামে হলেই দিয়ে দিতাম মাছ নিয়ে বসে থাকলে তো আমাদের লাভ নাই। ক্রেতারা যে দাম বলে তাতে আমাদের চালানই থাকে না।
শাফিউল মিল্লাত/এমএন