চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় যুবদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একজন যুবদল নেতাকে মারধর ও অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হালিম গাজী।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১১ এপ্রিল বিকেল ৪টায় রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী মাহামুদিয়া মাদরাসার মাঠে ৬নং মঠবাড়ী ইউনিয়ন যুবদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী সভায় সভাপতিত্ব করার কথা ছিল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম হায়দার সিকদারের। কিন্তু তাকে সভাপতিত্ব করতে না দিয়ে সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ পারভেজ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম জামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আ. হক নান্টু এবং ৬নং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। এছাড়া সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থগিত থাকা সত্ত্বেও নাসিম উদ্দিন আকনকেও বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ হালিম গাজীর।
হালিম গাজী বলেন, আমি বক্তব্য দিতে গিয়ে যখন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে কথা বলি এবং ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়নের প্রতিবাদ করি। তখন আমার কাছ থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে আমাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে আমাকে ডেকে মাদরাসার লাইব্রেরিতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে দরজা বন্ধ করে নাসিম উদ্দিন আকন ও তার অনুসারীরা আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর প্রধান অতিথি রফিকুল ইসলাম জামালের কাছে অভিযোগ দিলেও তিনি আমার অভিযোগ আমলে না নিয়ে বরং হুমকি দিয়ে বলেন, নাসিম আকনের বাইরে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানালে তিনি আমার রাজনীতি শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে হালিম দাবি করেন, ঘটনার পর থেকে নাসিম আকন ও তার অনুসারীরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আরকে