কুষ্টিয়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

দেশের বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) কুষ্টিয়ায় অবস্থিত চেচুয়া লীফ রিজিওনের শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে বেতন কাঠামোর দাবি করে।পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএসএম লজিস্টিকস লিমিটেডের পক্ষ থেকে তাদের দাবি পূরণের জন্য তিন দিনের সময় নেয়, এরপর শ্রমিকেরা আবার কাজে যোগ দেন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে ৫৪ জন ক্লার্ক ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতি দিয়ে কুষ্টিয়ার চেচুয়া লীফ রিজিওনের গেটের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা তাদের দাবি সম্পর্কে স্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলনকারীরা জানান, কোম্পানির স্বার্থে তারা সব কষ্ট উপেক্ষা করে ঘাম ঝরিয়ে শ্রম দেন। বিনিময়ে একজন লেবারের মজুরিও পান না। মৌসুমি শ্রমিক তাদের ৪-৬ মাসের জন্য চাকরিতে নেয়। কিন্তু প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এক থেকে দেড় মাস পরেও ছাঁটাই করতে দ্বিধা করে না। তাদের ঠিকমতো ওভারটাইমের মজুরি দেওয়া হয় না। তারা সবাই ক্লার্কের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তাদের বেতন ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা, যা একজন লেবারের থেকেও অনেক নিম্নমানের বেতন কাঠামো। যা রীতিমতো শ্রম আইনের লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন
কর্মবিরতিতে থাকা কর্মচারীদের দাবি, গার্মেন্টসের শ্রমিকদের সঙ্গে সামঞ্জস্য করলে তাদের বেতন কাঠামো সর্বনিম্ন ১৮ হাজার টাকা হতে হবে। তা না হলে তারা কাজে যোগ দেবেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক জানান, কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে খুব দুর্ব্যবহার করে। সুবিধা ও অসুবিধার কথা জানালে তারা চাকরি থেকে বের করে দিতে চায়।
কর্মবিরতি পালনকারী সবাই এমএসএম লজিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডের আওতায় কর্মরত। প্রায় ঘণ্টাখানেক কর্মবিরতির পর সেখানে এমএসএম লজিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মনোয়ার হোসেন কাবলু উপস্থিত হয়ে তিন দিনের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে এই মর্মে যোগদান করার অনুরোধ করেন।
তিন দিনের মধ্যে বেতন কাঠামো ঠিক না হলে দেশব্যাপী বৃহৎ পরিসরে আন্দোলনের ডাক দেবেন বলে জানান শ্রমিকরা। এরপর সকাল ৭টার দিকে শ্রমিকরা ফ্যাক্টরিতে কাজে যোগ দেন।
এ ব্যাপারে এমএসএম লজিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মনোয়ার হোসেন কাবলু বলেন, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আমাদের চেয়ারম্যান রাতে কুষ্টিয়াতে আসবেন। আগামীকাল আমরা এই বিষয় নিয়ে বসব। চেয়ারম্যান না আসা পর্যন্ত কোনো কিছু বলতে পারব না।
রাজু আহমেদ/এআইএস