পঞ্চগড়ের উন্নয়নে আমরা এক থাকবো : সারজিস

জুলাই অভ্যুত্থানের পর পঞ্চগড়ের জেলা শহরের মিড়গড় এলাকায় প্রায় ১২ একর জমিতে গড়ে উঠেছে ইকোপার্ক। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাত্র ৩২ দিনে গড়ে ওঠা মিড়গড় ইকোপার্ক পরিদর্শন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসেন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলীর আমন্ত্রণে ইকোপার্কটি পরিদর্শন করেছেন জেলার এই রাজনৈতিক নেতারা। পার্কটি ঘুরে দেখার পর পঞ্চগড়ের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন তারা। উত্তরের হিমালয় কন্যাখ্যাত জেলাটির উন্নয়নে এক সাথে থেকে কাজ কাজ করতে চান তারা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, মাত্র ৩২ দিনের মাথায় এ রকম একটি ইকো পার্ক গড়ে তোলা নিঃসন্দেহে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। রাজনীতির বিভিন্ন মতাদর্শ বা মতবাদ থাকতে পারে কিন্তু জেলার উন্নয়নে আমরা সকল রাজনৈতিক দল এক থাকবো।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, আমার বাড়ি যেহেতু এখানে তাই এই পার্কটির জন্য আমার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাকে অনেক দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি সাথে আছি।
এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসাইন বলেন, জেলা প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। এই পার্কে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, জেলার সকল নেতৃবৃন্দ আমরা একসাথে এসেছি। এটাই আজকের শিরোনাম হতে পারে। জেলা উন্নয়নে আমরা এক থাকবো।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বলেন, এ জেলায় আসার পর এই অঞ্চলের ছাত্র, যুবক, সিনিয়র সিটিজেনসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলেছি। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয়দের দাবি ছিল একটি ইকো পার্ক গড়ে তোলার। একদিন আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা মানুষদের সাথে কথা বলতে এসে এই জায়গাটি খুঁজে পাই। তারপর এখানে ইকোপার্ক স্থাপনের চিন্তাটা মাথায় আসে। গত মাসের শুরুর দিকে কাজ শুরু করেছি। আপাতত কিছুটা দাঁড়িয়েছে। আরও অনেক কাজ বাকি আছে। ঢাকা থেকে অভিজ্ঞ আর্কিটেকচার দিয়ে পার্কটির ডিজাইন করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পরিভ্রমণে এসে পার্কটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এসকে দোয়েল/এমএএস