নারায়ণগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে ৩ মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ উপজেলায় পৃথক স্থান থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে মরদেহগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতরা হলেন—সোনারগাঁয়ের পিরোজপুরের সিরাজুল ইসলাম (৭০), কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার প্রয়াত আবু সাঈদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন নয়ন (৪৬) ও এক নবজাতক কন্যা শিশু।
শনিবার সকালে পিরোজপুরের কান্দারগাও এলাকার একটি মাঠে ঘন ঘাসের ঝোপ থেকে সিরাজুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গত ৬ এপ্রিল সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি বলে জানান তার স্বজনরা। পরদিন থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরিও করেছিলেন তারা।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল রহমান বলেন, ওই বৃদ্ধ শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। মরদেহটি তার বাসার অদূরে একটি ঘন ঘাসের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করছি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে তিনি মারা যান। পরিবারের লোকজনও অস্বাভাবিক কোনো কিছুর অভিযোগ করেননি।
আরও পড়ুন
যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ১ নম্বর সেক্টর থেকে উদ্ধার হওয়া দেলোয়ার হোসেন নয়ন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তার শরীরে বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী। ওই এলাকা থেকে একটি রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মরদেহের অবস্থা অনুযায়ী, অন্তত দুই দিন আগে খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছি। নিহতের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি কী কারণে এই এলাকায় এসেছিলেন কিংবা কীভাবে খুন হয়েছেন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
এদিকে নিহতের চাচাতো ভাই সুমন তালুকদার মোবাইল ফোনে বলেন, দেলোয়ার পেশায় একজন গাড়িচালক ছিলেন। গাজীপুরে থাকতেন তিনি। যদিও তার খুন হওয়ার পেছনে এখন পর্যন্ত কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।
একই উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের খৈসার বেড়িবাঁধ এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভিটি থেকে কাপড়ে মোড়ানো এক কন্যা নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বলে জানান ওসি লিয়াকত আলী।
মেহেদী হাসান সৈকত/এএমকে