পাংশা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই শিশুটি এখন ছোটমনি নিবাসে

রাজবাড়ীর পাংশায় চুরির শিকার দুই মাস বয়সী সেই শিশুটিকে ঢাকার আজিমপুরের ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়েছে। পাংশা উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরের অধিনস্ত শিশু কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) শিশুটিকে ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত ৭ এপ্রিল চুরির শিকার ওই শিশুসহ উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের হারুন সরদারের মেয়ে হালিমা আক্তারকে (২০) আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে হালিমা আক্তারকে আটক রেখে ওই শিশুকে উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে পাঠায় পুলিশ। উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে গত ৮ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলা সিভিল সার্জনের ড্রাইভারের জিম্মায় রাখে উপজেলা সমাজসেবা দপ্তর। চুরির শিকার শিশুর মা দাবি করে গত ৯ এপ্রিল উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে আসেন কহিনুর নামের এক নারী। তবে শিশুটিকে মা দাবি করা ওই নারীর কাছে না দিয়ে বৃহস্পতিবার শিশুটিকে ঢাকা আজিমপুর ছোটমনি নিবাসে পাঠায় উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড।
উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে শিশুটিকে রাজবাড়ী জেলা সিভিল সার্জনের ড্রাইভারের জিম্মায় রাখা হয়েছিল। গত ৯ এপ্রিল কহিনুর নামের এক নারী এসে ওই শিশুর মা দাবি করেন। এ সময় তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিলো না। তিনি ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে এসছেন বলে জানান। তবে তার কাছে কোনো পরিচয়পত্র বা মোবাইল ছিলো না। ওই নারী চুরির শিকার শিশুটির প্রকৃত মা কিনা আমারা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবুও তার বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই শিশুকে পুলিশের মাধ্যমে গত ১০ এপ্রিল ঢাকা আজিমপুর ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়েছে। তিনি উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুটিকে ওখান থেকে নিতে পারবেন।
পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, শিশুসহ আটক হালিমা আক্তারকে আইনের ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে ঢাকা ছোটমনি নিবাসে পাঠনোর জন্য পুলিশি সহায়তা চেয়েছিল উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড। সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এএমকে