চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় তামান্না বেগম (২৫) নামে এক প্রসূতি নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌর শহরের কলাপাড়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এ ঘটনা ঘটে। মৃত তামান্না উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের রওশন মাতব্বরের স্ত্রী।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যায় তামান্নাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসা হলে প্রসবের ১৫ দিন বাকি থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তারাহুরো করে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে রক্ত সংগ্রহ না করেই ডা. পার্থ সমদ্দার ও ডা.মুনতাহা মারিয়াম মিতু সিজার করে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। এ সময় তামান্নার অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরন হলে তারা তাকে বরিশালে রেফার করেন। তাৎক্ষণিক রোগীর স্বজনরা তাকে নিয়ে রওনা করার কিছু সময় পর ক্লিনিক থেকে ফোনে আমতলী হাসপাতালে চেকআপ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরে রোগীকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। রোগীর স্বজনদের দাবি, রোগীকে মৃত দেখেই তারা ক্লিনিক থেকে দ্রুত বের করে দিয়ে পালিয়েছেন।
মৃতের স্বজন মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ক্লিনিকের দালালেরা তামান্নাকে এখানে নিয়ে আসে। তাদের ভুল চিকিৎসার কারণে তামান্না মৃত্যুবরণ করে। এখানে চিকিৎসকরা কসাইয়ের মতো রোগীদের সঙ্গে ব্যবহার করে। এই ডাক্তারের বিচার চাই।
মৃতের স্বামী রওশন মাতব্বর বলেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে আমার স্ত্রী এখানে মারা গেছে। এরপর আমাদের চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠায়।
এ বিষয়ে ডা. পার্থ সমাদ্দার ও ডা. মুনতাহা মারিয়াম মিতুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে রিসিভ করেনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেএইচ খান লেলীন বলেন, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে চিকিৎসকদের কোনো ভুল আছে কিনা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসএম আলমাস/আরকে