জয়পুরহাটে রুটি-পরোটা ভাজা নিয়ে দ্বন্দ্বে শ্রমিক নিহত

জয়পুরহাট জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে রুটি ও পরোটা বানানো নিয়ে দুই শ্রমিকের দ্বন্দ্বের জেরে মারামারিতে রডের আঘাতে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শ্রমিক মারা যান।
এর আগে এদিন সকাল ৯টার দিকে শহরের নতুনহাট এলাকার কুসুম কিচেন অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হোটেল শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত রেস্টুরেন্ট শ্রমিকের নাম জাহিদ হাসান মোল্লা (৩৮)। তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের ইশাহাক মোল্লার ছেলে। তিনি তিন বছর ধরে কুসুম কিচেন অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও কুসুম সুইটসে জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট শাখায় কাজ করছিলেন। আর গ্রেপ্তার শাহিন মিয়ার (১৯) বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার রায়পুর এলাকায়।
পুলিশ ও কুসুম কিচেন অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুসুম সুইটসে রুটি ও পরোটা ভাজা নিয়ে জাহিদ হাসান ও শাহিন মিয়ার মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এরপর জাহিদ কুসুম কিচেন অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে আসেন। কিছু সময় পর শাহিন মিয়ার সঙ্গে ওই রেস্টুরেন্টের নাসিম নামে আরেকজন শ্রমিকের মারামারি বাঁধে। সেসময় জাহিদ তাদের মাঝে যেতেই শাহিন মিয়ার হাতের থাকা লোহার রড় দিয়ে জাহিদের মাথায় আঘাত করেন। এতে জাহিদ সড়কের ওপর লুটিয়ে পড়েন। রেস্টুরেন্টের অন্য শ্রমিকেরা এসে জাহিদকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।
কুসুম কিচেন অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক নূর জাহান বেগম হ্যাপি বলেন, রুটি ও পরোটা ভাজা নিয়ে দুই শ্রমিক জাহিদ ও শাহিন মিয়ার ঝগড়া লাগে। পরবর্তীতে আরেকজনের সঙ্গে শাহিনের মারামারি হয়। এ সময় জাহিদ তাদের মাঝে যেতেই শাহিন লোহার রড় দিয়ে জাহিদের মাথায় আঘাত করেন।
জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুসুম কিচেন অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চম্পক কুমার/এমজেইউ