খোলপেটুয়া নদীতে রিং বাঁধের কাজ সম্পন্ন, স্বস্তি ফিরেছে বানভাসীদের

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও টিউবের মাধ্যমে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এতে আপাতত লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ হয়েছে, ফলে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে প্লাবিত এলাকার মানুষের মধ্যে।
সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরের জোয়ারের আগেই রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে জিও টিউবের মধ্যে বালি ভরে রিং বাঁধ দিয়ে প্রাথমিকভাবে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। আরও কিছু জিও টিউব সংযোজন করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিং বাঁধ বাঁধার সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে মূল বেড়িবাঁধ তৈরির কাজ শুরু হবে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা রয়েছে। সামনে পূর্ণিমার জোয়ারে পানির চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বালুর বস্তা দিয়ে পানি রোধ করা হয়েছে। এখন নদীতে ভাটি হওয়ায় পানির চাপ কম। তবে সামনে পূর্ণিমার জোয়ারে পানির চাপ অনেক বেশি হবে। তার আগে মূল বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
গত ৩১ মার্চ ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শ ফুট অংশ খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়। ভেসে যায় প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমির মৎস্য ঘের ও ২১ হেক্টর ফসলি জমি। পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজারও পরিবার। বিধ্বস্ত হয় শতাধিক কাঁচাঘর। দেখা দেয় সুপেয় পানি ও খাদ্য সংকট।
প্লাবিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ এখনো কাটেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত মূল বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে।
ইব্রাহিম খলিল/আরকে