রেস্তোরাঁর ডিজিটাল বোর্ডে ভেসে উঠল মুজিবের নাম, মালিক কারাগারে

নোয়াখালীর কবিরহাটে একটি রেস্তোরাঁয় ডিজিটাল বিলবোর্ডে ‘মুজিবের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’ লেখা ভেসে উঠায় মালিক ফজলুল হক আরজুকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া। এর আগে সন্ত্রাস দমন আইনে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
কারাগারে প্রেরণকৃত ফজলুল হক আরজু কবিরহাট বাজারের তোহা বৈঠকখানা রেস্তোরাঁর স্বত্বাধিকারী। তিনি সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যরাতে কবিরহাট বাজারের তোহা বৈঠকখানা রেস্তোরাঁর বিলবোর্ডটিতে আচমকা মুজিবের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই এই বার্তা ফুটে ওঠে। বিষয়টি দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে উপস্থিত হন। তারা ভিডিও করে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কবিরহাট নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করা হয়। এতে লেখা হয়, কবিরহাট বাজার জিরো পয়েন্ট তোহা বৈঠক খানা ডিজিটাল বোর্ডে ভেসে উঠলো মুজিবের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই, এই রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তোহা বৈঠকখানার মালিক ফজলুল হক আরজু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা রেস্তোরাঁ বন্ধ করে রেখে চলে গেছি। রাতে আমাদের কোনো ডিউটি থাকে না। কে বা কারা হ্যাক করে এটি করেছে তা খতিয়ে দেখা উচিত। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে ফজলুল হক আরজুর পরিবার দাবি করছেন, অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মূলত তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। এছাড়া তাকে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ডেভিল হান্ট তথ্য সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেপ্তার করেছে। অথচ সে এসবের কোনো কিছুর মধ্যেও নেই।
কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাই সরেজমিনে সব কিছু দেখে রেস্তোরাঁর মালিককে আইনের আওতায় আনা হয়। ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
হাসিব আল আমিন/আরকে