‘হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে কাজ করেছি, এই স্পিরিট ধরে রাখতে হবে’

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, আপনারা যারা ভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। স্টেইজে দেখুন আমরা কত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাথে বসবাস করি। এ অনুষ্ঠানে আমরা-হিন্দু মুসলমান সবাই মিলে কাজ করেছি। এই স্পিরিট আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমরা সবাই দেশ ও মানবতার জন্য কাজ করব।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ মহাঅষ্টমী স্নানোৎসব পরিদর্শন শেষে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসবের কেন্দ্রীয় ক্যাম্পে আলোচনা সভায় কথা বলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ড.এ এফ এম মুশিউর রহমান,বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আনসার কমান্ডার কানিজ ফারজানা শান্তা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, সদস্য সচিব আবু ইউসুফ টিপু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরুণ, স্নান উৎসব উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্টের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি জয় কে রয় চৌধুরী বাপ্পী, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, প্রবীর মিত্র, শংকর প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, এটি নিরাপদ জায়গা। আপনারা নির্বিঘ্নে আপনাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করুন। আমরা নিজেদের সংশোধন করার কথা ভাবছি। যারা দেশ বিদেশ থেকে এসেছি, আমাদের মাঝে অনুধাবন হয়েছে যে আমাদের সংশোধন হওয়া দরকার। যারা এখানে এসেছেন স্নান করতে তারা সংশোধন হবেন।আমাদের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী আমাকে বলেছেন এই লাঙ্গবন্দের মহাতীর্থ অনুষ্ঠানের ভবিষ্যতে আরও সৌন্দর্য বর্ধন করবে।
তিনি আরও বলেন, আমি নিজে আজ এখানে প্রথম এসেছি। আমাদের এ জায়গাটা আরও সুন্দর করে সাজানো উচিত। এখানকার অবকাঠামোর এ জায়গার ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না। এর আরও সৌন্দর্য বর্ধন করা দরকার।
এটা শুধু তিন দিনের জন্য নয়। লাঙ্গলবন্দ হবে সারা বছরের জন্য। এখানে দর্শনার্থীরা আসবে। তারা এ জায়গার সম্পর্কে জানবে।
মীমরাজ হোসেন/আরকে