লাঙ্গলবন্দে পুণ্যস্নানের আয়োজনে যুক্ত হচ্ছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্যস্নানের স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নতুন করে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
তিনি জানান, এ জন্য সরকারের কাছে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব খুব দ্রুত পেশ করা হবে। এছাড়া আগামী বছর থেকে লাঙ্গলবন্দে পুণ্যস্নানের সকল আয়োজন আরও বেশি প্রসারিত করতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হবে।
শুক্রবার রাতে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে মহাষ্টমী পূণ্যস্নান উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে জেলা প্রশাসক এই নতুন উদ্যোগের কথা জানান।
আরও পড়ুন
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, পূণ্যস্নানের এই আয়োজন সফল করতে একাধিকবার এখানে এসেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে ঐতিহাসিক এই স্থানের অবকাঠামো আরো উন্নত করার সুযোগ আছে। তাই আমরা প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করবো, যাতে লাঙ্গলবন্দের এই পবিত্র স্থানগুলো আমূল পরিবর্তিত হয়। আমি আশা করি, তখন আরো বেশি ধর্মের মানুষ এখানে আসবেন পর্যটক হিসেবে।
তিনি বলেন, আজকের এই সহমর্মিতার স্পিরিটকে আমাদের ধরে রাখতে হবে, দেশকে ভালোবাসতে হবে এবং মানবতার জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক পূণ্যস্নানে অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের সকল অতিথিকে শুভেচ্ছা জানান এবং এই আয়োজনকে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
এছাড়া, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পূণ্যস্নান উপলক্ষে স্থাপিত বিভিন্ন সেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তারা সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং উপস্থিত জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করে সেবার মান সম্পর্কে তাদের মতামত গ্রহণ করেন।
নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী পুণ্যস্নান। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫ এপ্রিল রাত ১২টা ৪৫ পর্যন্ত দুদিনব্যাপী এই উৎসব চলবে। স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেছেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখো পূণ্যার্থী।
এবারের স্নানোৎসবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ প্রশাসন, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী নিয়মিত লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বিশেষ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এবার ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। পূণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য ম্যাপ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমএসএ