কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও বিনোদনকেন্দ্রে ছিল পর্যটকের ভিড়। ঈদের দিন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ২ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করেছেন। পর্যটকের এই ঢল ১০ তারিখ পর্যন্ত থাকতে পারে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির মৌসুমী ব্যবসায়ী, মধ্যস্বত্বভোগী এবং অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের কাছ থেকে হাতিয় নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
বিজ্ঞাপন
পর্যটক বাড়লে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নগরী কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, রেস্তরাঁসহ যানবাহন খরচ বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রতিবারের মতো এবারও সমুদ্রে বেড়াতে আসা পর্যটকরা স্থানীয় হোটেল, গেস্ট হাউস ও পরিবহন চালকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক শাহাদাত হোসেন বলেন, কলাতলীতে অবস্থিত সী মুন হোটেলে নন এসি রুমের ভাড়া প্রতি রাতে ৬ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরেক পর্যটক সাবিনা আক্তার বলেন, সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল লাইট হাউস নামে একটি কটেজে একদিনের জন্য ৭ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। রুমের কোয়ালিটিও ভালো না।
রাজশাহী থেকে আসা সোলেমান বলেন, বাস থেকে নামার সাথে সাথে একজন অটোচালক আসেন। তিনি দাবি করেন তার কাছে ভালো মানের হোটেলের রুম আছে। এই বলে আমাকে একটা হোটেলে নিয়ে যায়। ওই হোটেলে প্রতি রাতের জন্য এসি রুম ৮ হাজার টাকা চাওয়া হয়। পরে সাড়ে ৬ হাজারে রাজি হয় তারা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির মৌসুমী ব্যবসায়ী, মধ্যস্বত্তভোগী এবং অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। বিষয়গুলো আমরা জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।
টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে আমরা সাথে সাথে অভিযান পরিচলনা করছি। আমাদের হেল্প ডেস্ক আছে। সেখানে অভিযোগ দিলে আমরা ব্যাবস্থা নেব।
সাইদুল ইসলাম ফরহাদ/এনএফ