চায়ের বিনিময়ে ভোট দিয়ে নেতার পেছনে দৌড়াবেন না

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, এক বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে মাগুরার মহম্মদপুরের কোনো রাস্তা কাঁচা থাকবে না। মহম্মদপুরবাসী যদি মনে করেন আপনারা এলাকার উন্নয়ন চান তাহলে আমাদের একটা বিষয় পাল্টাতে হবে– ২শ টাকার বিনিময়ে ৫শ টাকার বিনিময়ে একটা চা খেয়ে, চায়ের বিনিময়ে ভোট দিয়ে ওই নেতার পেছনে দৌড়াবেন না।
তিনি বলেন, আমি অসংখ্য জায়গায় দেখেছি ভোটের সময় ৫ টাকা ১০ টাকার চা খাইয়ে ভোট দিয়ে মাসের পর মাস মানুষ একটা রাস্তার জন্য মসজিদ, মন্দিরের জন্য ওই নেতার বাড়িতে গিয়ে ঘুরতে ঘুরতে পায়ের চামড়া ক্ষয়ে গেছে। তারপরও ওই নেতা সামান্য পরিমাণ অনুদান আনতে পারে নাই।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে মাগুরার মহম্মদপুরের বালিদিয়া ইউনিয়নের ঘোষপুর রিজিয়া রুবিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা চত্বরে আয়োজিত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি আরও বলেন, আপনার এলাকায় আগামীতে ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি কে হবে তা এখন থেকেই ভাবার সময় এসেছে। যারা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে তাদের আপনারা নির্বাচন করবেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন তার নিজের প্রচেষ্টায় সরকারের পক্ষ থেকে মাগুরা-২ আসনসহ জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে নেওয়া নানা কর্মসূচি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি সভায় তুলে ধরেন।
সভায় যুব অধিকার পরিষদ মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি ওবায়দুল্লাহ বিন হাফিজারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী মহম্মদপুর উপজেলা শাখার আমির নূর আহমদ আলী, কাজী সালিমা হক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম ইউনুস আলী, বালিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান, ঘোষপুর রিজিয়া-রুবিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আবদুল ওহাব মিলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাগুরা জেলা শাখার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, গণঅধিকার পরিষদ মোহাম্মদপুর উপজেলা শাখার সভাপতি জামাল উদ্দিন, ছাত্র প্রতিনিধি মো. নাঈম, কাজী সাইফ, মোহাম্মদপুর উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মামুন, রাকিবুল হাসান, সাবেক মেম্বার মোল্লা, ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল ইসলাম সরদার প্রমুখ।
তাছিন জামান/এসএসএইচ