ইউপি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা, মহাসড়ক অবরোধ

খুলনার ফুলতলা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ আবুল বাশারকে লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে তা ইউপি চেয়ারম্যানের গায়ে লাগেনি।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলতলার খুলনা-যশোর মহাসড়কের সুপার ব্রিকসের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এতে সড়কের দুই পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদে ফুলতলা সদরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে বিএনপি। অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
আরও পড়ুন
ফুলতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, আবুল বাশার মোটরসাইকেলে করে ফুলতলা বাজার থেকে বেজেরডাঙ্গায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। পথে সুপার ব্রিকসের সামনে তাকে লক্ষ্য করে হাতবোমা ছাড়া হয়। কিন্তু বোমাটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অল্প সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ফুলতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, ফুলতলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশারকে হত্যার উদ্দেশে বোমা হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি। বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নেতারা বলেন, পতিত সরকারের দোসররা খুলনাকে অশান্ত করতে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। বিএনপি নেতা শেখ আবুল বাশারের ওপর বোমা হামলা তারই অংশ। অবিলম্বে বোম হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান নেতারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন– বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবু, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু ও চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।
মোহাম্মদ মিলন/এসএসএইচ