ঈদের ছুটিতে সোনারগাঁয়ে দর্শনার্থীদের ভিড়

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আনন্দ উপভোগ করতে চতুর্থ দিনেও প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকার নিকটে হওয়ায় সোনারগাঁ ভ্রমণে এসে মনোরম পরিবেশে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। নারী-পুরুষ ও শিশু, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত পর্যটনকেন্দ্রগুলো।
ঈদের ছুটিতে বিনোদনের খোঁজে সোনারগাঁ জাদুঘর, বাংলার তাজমহল ও পানাম সিটিসহ সোনারগাঁয়ের প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
বিশেষ করে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সোনারগাঁ জাদুঘর প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
এদিকে জাদুঘরসহ কয়েকটি বিনোদনকেন্দ্রে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের চাপে বিনোদন কেন্দ্রের আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট উপেক্ষা করেও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল দৃষ্টিনন্দন। যানজটে গাড়ি ছেড়ে হেঁটে সবাই বিনোদনকেন্দ্রে ছোটেন।
পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্মল প্রকৃতির সঙ্গে কিছু সময় আনন্দে কাটিয়ে খুশি আগত দর্শনার্থীরা। সোনারগাঁ জাদুঘর, বাংলার তাজমহল ও পানাম সিটি ছাড়াও সোনারগাঁয়ের গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের মাজার, লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম, জ্যোতিবসুর বাড়ি, কাইক্কারটেক ব্রিজ, অলিপুরা ব্রিজ এবং মেঘনা নদীর বৈদ্যেরবাজার ঘাটে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের এলাকায় তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় সোনারগাঁয়ের কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা টগর বলেন, রাজধানী ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় ঈদের ছুটিতে পরিবারের সাথে উপভোগ করতে ঐতিহ্যের বাহক সোনারগাঁয়ে ঘুরতে এসেছি। মুঘল আমলের প্রাচীন নিদর্শনের অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে এখানে। এখানে ঘুরতে এসে আমাদের খুবই ভালো লাগছে।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের (সোনারগাঁ জাদুঘর) উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার জানান, এবার আশানুরূপ দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ হাজার-হাজার দর্শনার্থী জাদুঘরের আদিরূপ উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছে। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য এখানে পর্যাপ্ত আনসার, পুলিশ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, সোনারগাঁয়ে বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্র তৈরি হওয়ায় পর্যটক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোনারগাঁয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি থানা পুলিশের মাধ্যমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
মীমরাজ হোসেন/আরএআর