অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার দরবেশপুর এলাকার মাইজদী টু চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়কের গ্লোব ফ্যাক্টরির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন— চৌমুহনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরপুর এলাকার আনোয়ারের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩২), তার ছেলে মো. শাহরিয়ার (১২), মেয়ে হৃদি (১৪), হৃদিকা (১৪ মাস), বোনের মেয়ে লামিয়া (১৪) ও বোনের ছেলে তাওহিদ (৬)।
আরও পড়ুন
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে জেলা শহর মাইজদী থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশা জেলার বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। যাত্রাপথে সিএনজিটি মাইজদী-চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়কের গ্লোব ফ্যাক্টরির সামনে গেলে হঠাৎ অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে সেলিনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দগ্ধ সেলিনা বেগমের দেবর তাওহিদুর রহমান বলেন, ভাবি নিজের এবং বোনের সন্তানদের নিয়ে চৌমুহনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাপরাশির বাড়ি থেকে কন্ট্রাক্টর মসজিদ এলাকায় বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাদের বহন করা অটোরিকশাটি কন্ট্রাক্টর মসজিদের পশ্চিমে পৌঁছালে হঠাৎ সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয় এবং তারা দগ্ধ হন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে পাঁচজন আমাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের শরীর ৫ থেকে ৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে সবাই আশঙ্কামুক্ত। সেলিনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি।
হাসিব আল আমিন/এআইএস