ঈদের ছুটিতে উত্তরা গণভবনে উপচেপড়া ভিড়

ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত উত্তরা গণভবন। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে ঈদের ছুটি উপভোগ করতে হাজারো দর্শনার্থী আসছেন উত্তরা গণভবনে। ইতিহাস, ঐতিহ্য জানার পাশাপাশি সময়টাকে স্মৃতিময় করে রাখার জন্য নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করছেন তারা। বেলা যত গড়িয়ে যাচ্ছে, ততই বাড়ছে দর্শানার্থীদের সংখ্যা।
বুধবার (২ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গণভবনের সামনে জড়ো হয়ে আছেন নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকরা। পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক কিংবা দূরপাল্লার বাসে চড়ে এসেছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। রয়েছে টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন।
গেটের সব প্রক্রিয়া শেষ করে গণভবনের ভেতরে ঢুকতেই পারিজাত ফুল ও স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে মিনি চিড়িয়াখানা আর সংগ্রহশালা দেখে খুশি শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন
পাবনা থেকে ঘুরতে আসা তৃশা খাতুন বলেন, পাবনা থেকে নাটোরে নানির বাড়িতে এসেছি। আজকে ঘুরতে বের হয়ে উত্তরা গণভবনে এসেছি। উত্তরা গণভবনের কথা অনেক শুনেছি কিন্তু এবারই প্রথম আসলাম। এখানকার প্রাচীন ভবন ও স্থাপত্যশৈলী আমাকে মুগ্ধ করেছে। পরিবেশটাও বেশ চমৎকার।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা মেহনাজ রুপা বলেন, উত্তরা গণভবনে পরিবারসহ এসেছি। এখানে এসে রাজাদের ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিস দেখলাম সংগ্রহশালায়। সত্যি দারুণ লাগলো। তবে গণভবনের ভেতরে শিশুদের জন্য ক্যান্টিন এবং পানির জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকাটা জরুরি ছিল।
উত্তরা গনভবনের হিসেব সহকারী নূর মোহাম্মদ বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময় দর্শনার্থীদের অনেক বেশি চাপ থাকে। এ বছর ঈদে বেশি ছুটি রয়েছে। আশা করছি, এবার অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি পর্যটক আসবে। পর্যটক ও দর্শনার্থীরা উত্তরা গণভোবন দেখে যাতে আনন্দিত হয় এজন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় এখানকার আইনশৃঙ্খলা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে আমরা বাড়তি নজর দিচ্ছি। গরমে দর্শনার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
গোলাম রাব্বানী/এএমকে