কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মামা-ভাগ্নেসহ নিহত ৪

কুষ্টিয়ায় ১২ ঘণ্টার ব্যাবধানে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদর, খোকসা ও মিরপুর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক সিএনজিচালক নিহত হয়েছেন। তার নাম রফজেল শেখ (৬৫)। তিনি ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রামের সাহাদ আলী শেখের ছেলে।
হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য আরিফুর রহমান জানান, সিএনজিটি যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। এ সময় দৌলতপুর থেকে কুষ্টিয়া হয়ে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার পেছন থেকে সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিটি সড়কে ছিটকে পড়লে চালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হযন। স্থানীয় বাসিন্দারা চালক রফজেলকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের জিলা স্কুলের সামনে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা রাহাত ইসলাম পলাশ (৩০) ও ফাহিম অনিক (২৩) নামে দুই যুবক নিহত হন। নিহতরা সম্পর্কে মামা-ভাগনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তানভীর গণি (২৩) নামে আরও এক যুবক। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশাররফ হোসেন বলেন, তারা তিনজন রাতে মজমপুর এলাকা থেকে চা পান করে মটরসাইকেলযোগে শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়ায় চাচাতো ভাইয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়ি লোকজন তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পলাশকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে অনিকেরও মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, নিহত পলাশ কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার আসাদুল ইসলাম মোল্লার ছেলে। তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে সাভারে কর্মরত ছিলেন। অনিক শহরের কমলাপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। পড়াশোনা শেষ করে তিনি ফ্রিল্যান্সিং করতেন।
এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খোকসা উপজেলার বিলজানি বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে মঈনুদ্দিন শেখ (৭০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মৃত চতুর আলীর ছেলে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজু আহমেদ/এএমকে