‘ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণধর্ষণের শিকার নারী যথাযথ বিচার পাননি’

ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণধর্ষণের শিকার নারী যথাযথ বিচার পাননি বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
বিজ্ঞাপন
গতকাল বিকেলে সুবর্ণচর উপজেলার নাগরিক সমাজের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের মাঠে ‘আলোকিত কুইজ অনলাইন প্রতিযোগিতা-২০২৫’ এর সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষে ভোটদানকে কেন্দ্র করে আমাদের এক বোনকে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় আমরা বিচার চেয়েও বিচার পাইনি।
বিজ্ঞাপন
নাছির উদ্দীন নাছির আরও বলেন, আমি কোন বিভাজনের রাজনীতি চাই না। বিশেষ করে আপনারা আমাকে যারা চেনেন তারা অনেকেই জানেন আমি হয়তো একটু নমনীয় এবং সহজ সরল। কিন্তু আপনারা দেখেছেন আন্দোলন সংগ্রামে আমি সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করেছি। আমার যে ত্যাগ এবং অবদান তা দেখে মূলত আমার দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামের স্বার্থে, সুবর্ণচরের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো ধরনের বিভক্তি আমি চাই না। গণঅভ্যুত্থানে শত শত ছাত্র জনতার শহীদের বিনিময়ে আমরা বর্তমান বাংলাদেশ পেয়েছি। এটাকে আমরা ব্যর্থ হতে দেবো না। আমাদের সবাইকে এরজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ছাত্র সমাজ ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, সমাজের সর্বোচ্চ স্তরে যেতে হলে আমাদের সন্তানকে পড়াশোনা করাতে হবে। আগামীর দেশ গড়তে হলে আগামী প্রজন্মকে শিক্ষিত হতে হবে। আলোকিত কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে আমরা একটি ভিন্নধর্মী জ্ঞানভিত্তিক প্রোগ্রাম আয়োজন করার চেষ্টা করেছি। যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জনে অধিক আগ্রহী হয়। আমাদের প্রতিটি পরিবারের উচিত সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হলে পরিবার, সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে। নতুবা কোনো ক্ষেত্রে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আমি সুবর্ণচরেরই সন্তান। এখান থেকেই বড় হয়েছি। এ অঞ্চলের মানুষের জীবনাচরণ সম্পর্কে আমি জানি। কারণ, ছোটবেলা থেকে এলাকার মানুষজনের কষ্ট আমি দেখেছি। সুবর্ণচরের প্রতিটি মানুষের জীবন সংগ্রামের। আমাদের এখানে অধিকাংশ মানুষ নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বসবাস শুরু করেছিল। আমাদের বাড়ি যেখানে, অধিকাংশ মানুষ সেখানে অন্য জায়গা থেকে এসেছে। আমার বাপ-দাদারা অন্যান্য জায়গা থেকে এখানে এসে বসবাস শুরু করেন। এরকম একটি পরিশ্রমী এবং সংগ্রামী জাতিকে কখনো আর সামনের দিনে দমিয়ে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ সহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়। আলোকিত প্রজন্ম কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এম আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মেয়র হারুনর রশিদ আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষক (খণ্ডকালীন) গাজী মো. জহিরুল ইসলাম টিটো প্রমুখ।
হাসিব আল আমিন/এনএফ