একটি বৃহৎ দল জামায়াতকে মাইনাস করার চক্রান্ত করছে : বুলবুল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে। এতে করে আমাদের ওপর জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা দেখে বিচলিত হয়ে আমাদের বন্ধুপ্রতিম বড় সংগঠনগুলোর মাথা একটু টালমাটাল হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পাকড়তলা মোড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে মাইনাস করার কোনো চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ মেনে নেবে না। একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য ও তাদের ঘাড়ে চড়ে ক্ষমতায় আসার পথ তৈরির জন্য জামায়াত ইসলামীকে মাইনাস করার চক্রান্ত করছে। যা ইতোমধ্যে ছাত্রনেতারা ফাঁস করে দিয়েছেন। আগামী দিনে জনগণ সজাগ ও সর্তক আছে, আমরা তা কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেব না।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
জামায়াতের এ নেতা বলেন, শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জে নয়, গোটা বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামীর নেতারা কোনো দুর্নীতি করবে না, কারো অধিকার নষ্ট করবে না, চাঁদাবাজি করবে না, টেন্ডারবাজি করবে না, ছিনতাই করবে না এবং কোনো ভাগ বসাবে না ব্যবসায়, এটা আমরা চিৎকার করে বলতে পারি। কিন্তু আমাদের সেই বড় দলের নেতারা কী চিৎকার করে বলতে পারবেন? অসম্ভব, চিৎকার, স্লোগান, মিছিল দিয়ে হবে না, এটার জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ, ট্রেনিং, শিক্ষা ও ইসলামী মূল্যবোধের অনুশাসন। সেই কাজগুলো জামায়াত ইসলামী করে, যা আপনাদের কাছে নেই। আপনাদের পক্ষে জনগণের স্বার্থের জন্য দলীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া সম্ভব নয়। এটা শুধু জামায়াত ইসলামীর পক্ষেই সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতের ওপর জুলুম নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বড় নির্যাতিত দল, আমাদের শীর্ষ নেতাসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ২০ হাজারের অধিক মামলা দিয়ে লাখ লাখ নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ঘর ছাড়া, এবং চাকরি ও ব্যবসা ছাড়া করা হয়েছে। বছরের পর বছর তারা বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি, খোলা আকাশের নিচে মাঠে ও ঘাটে ঘুমিয়েছে। এ ছাড়া জামায়াত ইসলামীর প্রতীক ও নিবন্ধন কেঁড়ে নেওয়া হয়েছিল। এমনকি পাঁচ আগস্টের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের আশায় জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। আল্লাহর মেহেরবানীতে ফ্যাসিস্ট অপশক্তিকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা জামায়াতের আমির হাফেজ গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু জার গিফারী, সিনিয়র নায়েবে আমির ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক লতিফুর রহমান, সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বক্কর, নায়েবে আমির ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুখলেসুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তহুরুল ইসলাম সোহেলসহ অনেকে।
মো. আশিক আলী/এসএসএইচ