তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলায় বিএনপি নেতা এ্যানির দুঃখ প্রকাশ

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, বাচ্চু মোল্লা আমাদের স্থানীয় নেতা। উনার ছেলে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে উনি এবং উনার ছেলের ভূমিকা রয়েছে। আমার ফ্যাসিস্টবিরোধী ও হাসিনাবিরোধী আন্দোলন করেছি দেশের পক্ষে জনগণের পক্ষে। সুতরাং বাচ্চু মোল্লা অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হবেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার বাড়িতে গিয়ে মাহফুজের বাবা বাচ্চু মোল্লার খোঁজখবর নেন বিএনপি নেতা এ্যানি। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ঘটনাটি জানার পরই আমি বাচ্চু মোল্লাকে কল দিয়েছি কিন্তু আমি উনাকে পাইনি। মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উনার কাছ থেকে বাড়িতে এসে জানতে পেরেছি। ১৬ বছর ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আমরা অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি। আমাদের পাশ থেকে অনেক নেতাকর্মী খুনের শিকার-গুমের শিকার হয়েছে। সবশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেকে শহীদ হয়েছে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে বাচ্চু মোল্লাসহ তার পরিবারও নির্যাতিত। যারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল, কথিত মঞ্জু একজন সন্ত্রাসী ছিল। ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন পদে ছিল। তার দায়দায়িত্ব বাচ্চু মোল্লা কখনো গ্রহণ করেননি এবং করবেন না। সুতরাং এটিকে কেন্দ্র করে উনার সঙ্গে উনার পরিবারের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব সৃষ্টি করার কোনো প্রয়োজন নেই। কেউ যদি এ ধরনের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে শক্ত হাতে সেটিকে আমরা প্রতিরোধ করব।
বিজ্ঞাপন
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আলম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ রাতে বিএনপি-ছাত্রদলের লোকজন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মেহেদী মঞ্জুর বাড়িতে হামলা চালায়। এতে মাহফুজের বাবা বাচ্চু মোল্লা বাধা দেন। বাচ্চু ও মঞ্জু সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। হামলায় বাধা দেওয়ায় একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুর ওপর হামলা করে। এতে তিনি হাতে আঘাত পান। বাচ্চু মোল্লা ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এসএসএইচ