দম্পতিকে হয়রানির অভিযোগ, ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেওয়া যুবক গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় ঈদের রাতে দম্পতিকে বহনকারী অটোরিকশা আটকে হয়রানির অভিযোগে মেহেদী হাসান (২৪) নামে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়দানকারী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে শ্লীলতাহানি, নারী ও শিশু নির্যাতন, অবৈধ আটক এবং মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে রাজিবপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। মামলায় চার জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে পুলিশ মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে। তিনি সদর ইউনিয়নের মরিচাকান্দী এলাকার মিষ্টার আলীর ছেলে।
মামলার বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাদীর মেয়ে, মেয়ের জামাই, মেয়ের ননদ ও দেবর বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যার পর মেয়ের শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। তারা উপজেলার বটতলা এলাকায় পৌঁছালে মেহেদী হাসান, নিশাত, আশা এবং আরও কয়েকজন যুবক তাদের অনুসরণ করতে থাকে। পরে মরিচাকান্দী এলাকায় একটি ব্রিজের ওপর তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পরে অপর একটি অটোরিকশা সেখানে এলে তারা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিহাব বলেন, আমি, আমার স্ত্রী, আমার চাচাতো ভাই-বোনসহ শ্বশুরবাড়ি থেকে ঈদের দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলাম। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বটতলা এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে কয়েকজন যুবক আমাদের অটোরিকশাকে অনুসরণ করে। পরে মরিচাকান্দী এলাকায় ব্রিজের ওপর গতিরোধ করে উল্টাপাল্টা কথা বলতে থাকে। নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে আমার স্ত্রী ও চাচাতো বোনের শ্লীলতাহানি করে এবং আমাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে আমাদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে আমাদের আরেকটি অটোরিকশা এলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিক হাসান বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। মামলায় নাম উল্লেখ থাকা আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মমিনুল ইসলাম বাবু/এসএসএইচ