সূর্যমুখী চাষে সফল চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষক হাবিবুর রহমান

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক মো. হাবিবুর রহমান। নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসের সহোযোগিতায় প্রায় ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমান। তিনি কৃষি কাজ করেন। নাচোল উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে এই অর্থবছরে প্রায় দুই বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন।
নাচোল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায় সূর্যমুখী চাষ করে। তাই পরীক্ষামূলকভাবে নাচোলে এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছে নাচোল কৃষি অফিস। প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ দিতে হয়। দেড় ফুট অন্তর অন্তর একটি করে বীজ বপন করতে হয়। একটি সারি থেকে আরেকটি সারির দূরত্ব রাখতে হয় দেড় ফুট। মাত্র ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বীজ বপন থেকে শুরু করে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি একর জমিতে সব খরচ বাদ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। যা অন্য কোনো ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রমে ভালো আয়। তাই এ ফসল চাষে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় অনান্য কৃষকেরাও সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এবং আগামীতে এই উপজেলায় সূর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি অফিস।
বিজ্ঞাপন
কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রায় ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ শুরু করি। কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে এবং এই সূর্যমুখী চাষে ভালো একটা লাভের আশা করছি। এছাড়া প্রতি বিঘা সূর্যমুখী চাষে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয় এবং প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
বিজ্ঞাপন
নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সালেহ আকরাম বলেন, এই অর্থবছরে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় নাচোল উপজেলায় একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে সূর্যমুখী ফুলের পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, কীটনাশক সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এবং কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়লে এই বরেন্দ্র অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে। সরকারি সহায়তা ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে সূর্যমুখী চাষ বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলেও মনে করেন তিনি।
আশিক আলী/আরকে