ঈদে দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে যৌথ বাহিনীর অভিযান, তল্লাশি

ঈদে মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়ানো ও জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পঞ্চগড়ে বিশেষ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
সোমবার (৩১ মার্চ) পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গীর পঞ্চগড়-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ট্রাফিক পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সদস্যদের অভিযান চালাতে দেখা যায়।
অভিযানে সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস,ও মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। ঈদের প্রথম দিনে মোটরসাইকেলসহ বেশ কিছু যানবাহনে লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় জরিমানা করা হয়। একই সাথে মহাসড়কে চলাচল করা বিভিন্ন যানবাহনসহ সাধারণ মানুষদের সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা চেয়ে সতর্ক করা হয়।
পঞ্চগড় ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই মোশারফ হোসেন বলেন, যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে অভিযান চলছে। প্রথম দিনে বিভিন্ন অপরাধে ট্রাফিক আইনে ৬টি যানবাহনকে মামলা দেওয়া হয়েছে। আর অভিযানের মাধ্যমে দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। হেলমেট ব্যবহার না করায় অনেক মোটরসাইকেল আরোহীদের আটক করা হচ্ছে। ওভার গতি নিয়ে রাস্তায় চলাচলের কারণে বাড়ে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা। আশা করি আমাদের এই অভিযানে সবাই সতর্ক থাকবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্পের উপ অধিনায়ক লে. মো. ফরহাদ অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সাধারণ জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং রাস্তাঘাটে জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ‘যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য হলো- সাধারণ মানুষ যেন নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে এবং দুষ্কৃতকারীদের তৎপরতা যেন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা এই যৌথ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আর জনসাধারণকে একটি সুন্দর ঈদ উপহার দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অভিযানকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মিজানুর রহমান, ব্যাটালিয়ন আনসারের ল্যান্স নায়েক ছানোয়ার হোসেন, নুরেন্দ্র মদী ও ট্রাফিক সহ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসকে দোয়েল/এমএ