খোলা ট্রাক-পিকআপে বাড়ি ফিরতে পেরেও খুশি যাত্রীরা

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদকে উপলক্ষে ঘরমুখো হচ্ছে মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে কমতে শুরু করেছে যানবাহনের চাপ। ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা। কোথাও কোথাও গাড়ির কিছুটা সংকট দেখা দেওয়ায় ট্রাক-পিকআপ ও বাসের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেও খুশি উৎসবপাগল বাঙালি।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
রোজিনা বেগম নামের এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, ট্রাকে যাচ্ছি বাড়িতে। বাড়ির কথা শুনলে মনের মধ্যে শান্তি চলে আসে। এই রোদের মধ্যে যাচ্ছি পরিবারকে কাছে পাবো এটাই শান্তি।
বিজ্ঞাপন
ট্রাকের যাত্রী ইকবাল হাসান বলেন, প্রচণ্ড রোদ মাথায় নিয়ে প্রায় ছয় মাস পর রংপুর যাচ্ছি। ট্রাকে এতো কষ্ট করে গেলেও নিজের কাছে কষ্ট মনে হচ্ছে না। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারব, এর চেয়ে শান্তির কি হতে পারে। এ বছর ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ তার গন্তব্য পৌঁছাতে পারছে।
বিজ্ঞাপন
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমেছে। এবার ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা গন্তব্য পৌঁছাতে পারছেন। হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করেছে।
আরিফুল ইসলাম/এএমকে