বরগুনায় ২০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

বরগুনার বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় এক দিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৩০ মার্চ) বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় ঈদ উদযাপন হয়। তবে বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামীকাল সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরগুনা সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলার প্রায় ১৫-২০টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। মির্জাখীল দরবার শরিফ, কদেরিয়া দরবার শরিফসহ বিভিন্ন দরবারের প্রায় কয়েক হাজার অনুসারীরা এক দিন আগেই ঈদ উদযাপন করেন।
বিজ্ঞাপন
বেতাগী উপজেলার গলাচিপা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কদেরিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। ওই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মল্লিক বাড়ি জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এ সময় সবার সঙ্গে নামাজে অংশ নেয় শিশুরাও। পরে নামাজ শেষে মসজিদের মধ্যেই একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং শরবত পান করেন তারা। পরবর্তীতে প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাড়ি এবং প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন তারা।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
ঈদের নামজ পড়তে আসা মো. রবিউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাদিসে আছে পৃথিবীর কোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণেই সৌদিতে যেহেতু চাঁদ দেখা গেছে তাই আমরা ঈদের নামাজ পড়তে এসেছি। সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করাটা আমাদের জন্য আনন্দের।
বায়জিদ মল্লিক নামে আরেকজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের বড় দুটি উৎসবের মধ্যে একটি ঈদুল ফিতর। আর এ ঈদ প্রথমে উদযাপিত হয়। সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করতে পেরে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে।
মল্লিক বাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি গোলাম সরওয়ার আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিবছরই সৌদিতে চাঁদ দেখা গেলে আমরা ঈদ উদযাপন করি। এ বছরও সৌদিতে চাঁদ দেখায় আমরা এক দিন আগেই ঈদ উদযাপন করছি। আমাদের তরিকাতের যারা আছে আমরা সকলেই প্রতি বছর একই সঙ্গে ঈদ উদযাপন করি।
মল্লিক বাড়ি জামে মসজিদ ও ঈদের নামাজের ইমাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিলসিলিয়া আলিয়া কাদেরিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা দুই থেকে তিনশ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা এবং ঈদ উদযাপন করি। ইমাম আযম আবু হানিফ (রহ.)-এর মতে পৃথিবীর কোনো জায়গায় যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে রোজা এবং ঈদ করা ফরজ। আমরা তার অনুসারী হিসেবে দীর্ঘ বছর ধরে রোজা এবং ঈদ উদযাপন করছি।
এ বিষয়ে বেতাগী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বরগুনার বেতাগীতেও কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ঈদের নামাজ আদায়ে করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মো. আব্দুল আলীম/এএমকে